Share this link via
Or copy link
বাগুইহাটি-কাণ্ডের (Baguiati Case) ছায়া হরিদেবপুরে। এখানেও পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ। দশমীর দিন থেকে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার মগরাহাটে। আর এই ঘটনায় কাঠগড়ায় যুবকের বান্ধবী এবং পরিবার। জানা গিয়েছে দশমীর দিন বান্ধবীর বাড়িতে দেখা করতে বেড়িয়ে নিখোঁজ যুবক অয়ন মণ্ডলের দেহ উদ্ধার শুক্রবার। ঘটনাস্থল হরিদেবপুরের (Haridevpur Incident) কেওড়াপুকুর। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার নিখোঁজ থাকার পর সেই যুবকের (Youth Body) দেহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার অন্তর্গত মাগুরপুকুর পুলিস ক্যাম্পের পাশ থেকে থেকে উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় থানার পুলিস তাঁর দেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। শুক্রবার এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে পুলিস প্রশাসন। কলকাতা পুলিস নিখোঁজ যুবকের পরিবারকে মগরাহাটের ওই ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। মৃতের পরিবার অয়নের দেহ শনাক্ত করেন। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত বান্ধবী এবং তাঁর বাবা মাকে হরিদেবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধেই খুনের (murder) অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, দশমীর দিন রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে বের হয়েছিল অয়ন। তিনি সারারাত বাড়ি ফেরেনি। বান্ধবী বাড়ি চলে গেলেও এই যুবকের কোনও পাত্তা নেই এমনটাই বলছেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর থানায় ডায়রি করা হলেও কোনওরকম স্টেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিল পরিবার। পুলিসের বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক গাফিলতির প্রশ্ন।
তাঁর বন্ধুদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, দশমীর দিন তাঁর বান্ধবী বাড়িতে একা ছিল। সেই সময়ে অয়ন তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তারপর হঠাৎই তাঁর বাবা-মা চলে আসে, ভয়েতে তখন অয়ন ছাদের উপর চলে যায়। শেষ বন্ধুকে কল করেছিল রাত ৩টের দিকে। তিনি ফোনে তাঁর বন্ধুকে জানান, মেয়েটির মা অয়নকে বুকে ঘুসি এবং বেধড়ক মারধর করেছে। বন্ধুরা তখন অয়নকে বলে, "আমরা গিয়ে তোকে নিয়ে আসছি।" কিন্তু অয়ন বলে, "না। আমি একাই চলে আসবো তোদের আসতে হবে না।" পরিবার এবং স্থানীয় লোকের বক্তব্য, স্থানীয় থানা হরিদেবপুর কোনও এফআইআর নেয়নি প্রথমে। শুধুমাত্র মিসিং ডায়েরি নিয়েছিল আর সেই জন্য অয়নের বাবা লালবাজারের দ্বারস্থ হন। এরপর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ। এমনকি পরিবারকে থানা থেকে বলা হয়েছিল, নিজেরা ছেলেকে খুঁজে নিন। এমনকি একদিন সকাল ১১টা-রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল অয়নের পরিবারকে। এই অভিযোগও সংবাদ মাধ্যমের সামনে করেছে অয়নের পরিবার।
তবে অভিযুক্ত সেই বান্ধবী এবং তাঁর বাবা-মাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। কিন্তু পুলিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে হরিদেবপুর থানা ঘেরাও স্থানীয়দের। গোটা ঘটনার দায় নিয়ে পুলিসকে জবাবদিহি করতে হবে। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।