Share this link via
Or copy link
১৪ ফেব্রুয়ারি (Valentines Day) ভালোবাসার দিনে, ভালোবাসার মানুষকে কাছে না পেয়ে নৃশংস হত্যা (Dumdum Murder) প্রেমিকের। অবশেষে রবিবার রাতে দমদম থানার পুলিসের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, দমদম থানা এলাকার দুর্গানগরের বাসিন্দা মিহির মণ্ডলের সঙ্গে দমদম ক্যান্টনমেন্টের পশ্চিম রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা বছর ৪২-র অঞ্জু দাসের অবৈধ সম্পর্ক (Extra Marital Affairs) গড়ে ওঠে। বছর দেড়েকের এই সম্পর্কে সবসময় টানাপোড়েন চলতো।
বছরখানেক আগে দমদম থানায় একটি লিখিত অভিযোগও হয়। এরপরেও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি কেউ। কিন্তু মিহিরে নিত্য শারীরিক নিগ্রহের হাত থেকে বাঁচতে বেড়িয়ে আসতে চাইছিলেন বছর ৪২-এর অঞ্জু দাস। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বছর ৩৭-এর মিহির।
অভিযোগ, ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে'র দিনে রাস্তা থেকেই অঞ্জু দাসকে অপহরণ করে নিজের বাড়িতে আনেন অভিযুক্ত। এরপরে সেখানে দু'জনের মধ্যে বিবাদ-বচসা শুরু হয়। সেই বচসার জেরেই অঞ্জু দাসকে ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে মিহির মণ্ডল। এমনকি তাঁকে কোপানো হয়েছে বলেও পুলিসে অভিযোগ করেন অঞ্জুর মেয়ে প্রিয়া দাস। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মিহির মণ্ডল, নিজেই নাম ভাঁড়িয়ে অঞ্জু দাসকে স্ত্রী পরিচয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
এমতাবস্থায় মিহিরের স্ত্রী, অঞ্জুর মেয়েকে মায়ের খোঁজ নিতে বলেন। প্রিয়া এরপরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আরজিকরে ভর্তি রয়েছেন মা। এরপর সেখানে গিয়েই সে সমস্ত ঘটনা জানতে পারে। গত ১৮ তারিখ রাতে চারদিন কোমায় থাকার পর মৃত্যু হয় অঞ্জু দাসের। এরপরেই অভিযান চালিয়ে দমদম থানার পুলিস রবিবার দুর্গানগর থেকেই অভিযুক্ত মিহিরকে গ্রেফতার করে।
ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিস। ধৃতকে সোমবার পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। মৃতার মেয়ে জানান, 'মায়ের সঙ্গে একজনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। দশ মাস আগে মা সেই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসেন। মায়ের সঙ্গে যার সম্পর্ক ছিল, তিনি খুব মারধর করতেন বলে আমরা থানায় জিডিও করি। এরপরেও উনি আমাদের জ্বালাতন শুরু করেন। বাড়িতে এসে অশান্তি করত, ১৪ তারিখ মা পথকুকুরদের খাওয়াতে বেরোলে কোনওভাবে ওই ব্যক্তি মাকে তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়েছে। হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন। গত ৪ দিন আরজি করে ভর্তি থাকার পর ১৮ তারিখ রাতে মা মারা গিয়েছেন।'