০৮ মে, ২০২৪

TET: মুখে কালি, হাতে থালা নিয়ে প্রতিবাদ ২০২২ টেট উত্তীর্ণদের, দাবি ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-01-02 16:24:44   Share:   

এবার মঙ্গলবার শহরের রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলেন ২০২২ প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। রীতিমত মুখে কালি মেখে, থালা বাজিয়ে, প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রী সেজে প্রতিবাদ জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা। এছাড়াও শঙ্খ বাজিয়ে, ফুটবল খেলে, প্রতীকী টেট সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলে তীব্র প্রতিবাদে সামিল হলেন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৫ বছর পর গত ২০২২-এর ডিসেম্বরে হয়েছিল প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা হলেও এখনও ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি এবং প্যানেল প্রকাশ হয়নি। ঠিক এই কারণেই ইন্টারভিউর বিজ্ঞপ্তি এবং প্যানেল প্রকাশের দাবিতে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার তাঁদের এই মিছিল শিয়ালদহ থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল অবধি যায়। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি থাকলেও যেহেতু তাঁদের জানানো হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী এখানে নেই তাই তাঁর দফতরের আধিকারিক এর কাছে এই ডেপুটেশন দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় কর্মসূচি।  

মঙ্গলবার নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের এক অভিনব পন্থাও বেছে নিয়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী। প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রী সেজে প্রতিবাদ জানালেন তিনি, যাঁর হাতে একটি থালা এবং সেখানে লেখা লক্ষীর ভাণ্ডার চাই না, ২০২২ টেটের ইন্টারভিউর নোটিস চাই। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর এ বিষয়ে কোনও হেলদোল না থাকাতেই এমন অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন বলে জানালেন এই চাকরিপ্রার্থী।

পাশাপাশি এদিন প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রী সাজা চাকরিপ্রার্থীর মতে, তাঁদের লক্ষীর ভাণ্ডার নয়, কোনও ভাতা নয়, চাই কেবল স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ।

তবে চাকরিপ্রার্থীদের জানান তাদের ইন্টারভিউ প্যানেল যদি জানুয়ারি মাসের মধ্যে প্রকাশ করা না হয় তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা। এছাড়াও চাকরিপ্রার্থীদের মতে পাশের রাজ্য বিহারে যদি সাড়ে ৪ লক্ষ জনের চাকরির ব্যবস্থা করা যায়, যদি অসমে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হয় তাহলে বাংলায় কেন নয়? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৫০০ টাকা করে ভাতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন, এমনটাই জানালেন আন্দোলনরত ২০২২ প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।

শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের বহু নেতা-মন্ত্রী বর্তমানে রয়েছেন জেলে। তার মধ্যেই নিয়োগের দাবিতে রাজপথে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছেন রাজ্যের বহু বঞ্চিত যোগ্য চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু আন্দোলনই সার। দীর্ঘ আন্দোলন, একাধিক বৈঠকেও সুরাহা তো মেলেইনি উল্টে বহুবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বহু চাকরিপ্রার্থীকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেছে পুলিস। এতো দুর্নীতি, এতো অন্যায়, এতো বঞ্চনা শেষে বছর ঘুরলেও নিয়োগ কিন্তু সেই তিমিরেই। আর কতদিনই বা রাজ্যের যোগ্য শিক্ষিত প্রজন্মকে হকের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন করতে হবে? এ লজ্জার দায় কার? প্রশ্ন উঠলেও উত্তর কিন্তু অজানাই থেকে যাচ্ছে।


Follow us on :