Share this link via
Or copy link
সুদীর্ঘ ১০০১ দিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ২০১৬-র SLST উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু এই দীর্ঘ আন্দোলনেও হয়নি কোনও সুরাহা। গত শনিবার আন্দোলনের ১০০০ দিনে রীতিমত মাথা মুড়িয়ে, খালি গায়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাজ্যের যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের এহেন অবস্থা দেখে চোখে জল এসে গিয়েছে রাজ্যবাসীর। শনিবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। এমনকি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন তাঁদের। সোমবার দুপুরে শিক্ষাবিদ তথা তৃণমূলের মুখপাত্র কামাল হোসেন চাকরি প্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে আসেন।
কামাল হোসেন জানান, তিনি তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে নয়, এসেছেন একজন শিক্ষক হিসেবে। প্রতিবাদকারী কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী তাঁরও ছাত্র। তাঁরাই তাঁকে ধরনা মঞ্চে আসতে অনুরোধ করলে তিনি আসেন। তিনি আরও বলেন, কুনাল ঘোষ শনিবার এসে একটি সমাধানের পথ বার করার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীও চান এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে। সে বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে রাজ্যের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বাধ্য হয়ে যে অভিনব প্রতিবাদের পন্থা তাঁদের বেছে নিতে হয়েছিল, সেটিকে 'নাটক' বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। একজন শিক্ষিত অধ্যাপক হয়ে এমন কথা কীভাবে বলতে পারেন সৌগত রায়? প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
পাশাপাশি শনিবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ SLST উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের ২টি মঞ্চের একটিতে গেলেন আর একটিতে কেন গেলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাহলে কি SLST উত্তীর্ণ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরী করে আন্দোলন ভেঙ্গে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে? এ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন রাজ্যের যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।
যদিও এই চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, যতদিন না নিয়োগ হচ্ছে, তাঁদের আন্দোলন চলবে পাশাপাশি আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
শহরের রাজপথে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ২০১৬র SLST উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘ ১০০০ দিন পরেও সুরাহা না মেলায় মহিলা চাকরিপ্রার্থী সহ অন্যান্য প্রার্থীরাও মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। যোগ্য হয়েও কেন এমন পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্যের হবু শিক্ষকদের? আর ঠিক কত বঞ্চনা, কত বৈঠক শেষে মিলবে নিয়োগ? এ প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এখনও অজানাই।