Share this link via
Or copy link
নিউটাউনের কারিগরি ভবনের পিছনের খাল থেকে ট্রলিব্যাগ বন্দী বৃদ্ধ সুবোধ সরকারের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিসের জালে মূল অভিযুক্ত। যার নাম সৌম্য কান্তি জানা। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে অসীম হালদার এবং উত্তম দে নামে আরও দুই ব্যক্তিকে। রবিবার মূল অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে নাকা চেকিং চলাকালীন একটি অ্যাপ নির্ভর গাড়িতে রক্ত লাগা দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। পুলিসি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নেয় হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড সৌম্য কান্তি জানা।খবর পেতেই,টেকনোসিটি থানার পুলিস আধিকারিকরা পটাশপুর থেকে মৃতদেহ লোপাটে ব্যবহৃত অ্যাপ নির্ভর গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন। এছাড়াও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় টেকনোসিটি থানায়। জেরায় উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অভিযুক্তের দাবি, সুবোধ সরকার কামারহাটি পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আগে উড়িষ্যায় থাকতেন তিনি।সুবোধ সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ৭লক্ষ টাকা ফেরতের জন্য তাকে বাড়িতে ডাকেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নিমতা শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সৌম্য কান্তি জানা। এরপর দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়,সৌম্য জানা ধাক্কা মারেন সুবোধ সরকারকে। দেওয়ালে লেগে মাথার পিছনে আঘাত পান বৃদ্ধ।মৃত্যু নিশ্চিত করতে, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর অ্যাপ ক্যাবে করে ট্রলিব্যাগ বন্দী করে বৃদ্ধের দেহ ফেলে আসেন সৌম্য জানা।