Share this link via
Or copy link
মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য বদলে গিয়েছিল ইডেনের রং। কেকেআরের সোনালি-বেগুনি নয়, ক্রিকেটের নন্দনকানন মুড়ে গিয়েছিল হলুদে। সোম-সন্ধেয় খানিকটা তেমনই ছবি ধরা পড়ে লখনউয়ে। কেএল রাহুলদের (KL Rahul) ঘরের মাঠে থেকে থেকেই ‘কোহলি… কোহলি’ চিৎকার। গ্যালারির অনেকটা অংশ দখল করেছিলেন আরসিবি (RCB) সমর্থকরা। আর তাঁদের সামনেই ২২ গজের দখল নেন আরসিবি বোলাররা। সিরাজ, কর্ণ শর্মাদের দাপুটে বোলিংয়েই জয়ে ফিরলেন বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli)। কিন্তু শুধু হার নয়, উলটো দিকের শিবিরে চিন্তা বাড়ল অধিনায়ক রাহুলকে নিয়েও।
ম্যাচের শুরুর দিকেই চোট পেয়ে ফিজিওদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাহুলের। আরসিবির ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিল্ডিংয়ের সময় ডু প্লেসির বাউন্ডারি আটকাতে গিয়েই চোট পান রাহুল। থাই মাসলে চোট পেয়ে একেবারে মাঠে শুয়েই পড়েন তিনি। মাঠ ছাড়ার সময়ও তাঁর চোখে-মুখে স্পষ্ট যন্ত্রণার ছাপ। গ্যালারিতে উদ্বিগ্ন দেখায় স্ত্রী আথিয়া শেট্টিকেও। চিন্তার ভাঁজ পড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কপালেও। রাহুল মাঠ ছাড়ায় ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বে খেলে দল। যদিও প্রবল ইচ্ছাশক্তিতে ভর করে শেষ উইকেটে ব্যাট হাতে মাঠেও নামেন রাহুল। যদিও তিন বল খেলে খাতা খোলার আগেই শেষ হয় ম্যাচ। তাঁর চোট কতখানি গুরুতর, তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি
লখনউয়ের আউটফিল্ড এমনিতেই তুলনামূলক স্লো। তার উপর আরসিবি ইনিংসের মাঝে এক পশলা বৃষ্টিও হয়। আবার ওপেনিংয়ে নেই রাহুলও। ফলে ব্য়াঙ্গালোর স্কোরবোর্ডে বিরাট রান তুলতে না পারলেও লখনউর কাছে সব মিলিয়ে টার্গেটে পৌঁছনোর কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে। হ্যাজলউড, ম্যাক্সওয়েলদের সুইংয়ে ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি ক্রুণাল, দীপক হুডা, স্টয়নিসরা।
লখনউ হারলেও রবি বিষ্ণোইয়ের দুরন্ত বোলিংয়ের প্রশংসা করতেই হয়। কোহলি এবং ম্যাক্সওয়েলের (৪) মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে আরসিবিকে জোর ধাক্কা দেন তিনি। কার্যত একাই লড়াই চালান অধিনায়ক ডু প্লেসি। তবে মিডল অর্ডারের লাগাতার ব্যর্থতার দুশ্চিন্তা এই জয়ের পরও কাটল না আরসিবির।