Share this link via
Or copy link
আগামী মার্চ মাসে ভারত সফরে আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট (French President) ইমানুয়েল মাকরঁ (Emmanuel Macron)। জানা গিয়েছে, আরও ২৬টি রাফাল বিমান কেনার ব্যাপারেই এই সফর। ভারত-ফ্রান্স, দু’দেশের মধ্যে চুক্তি হবে এই সফরে। বিশ্বের প্রথম সারির যুদ্ধবিমান হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের তৈরি এই রাফাল। এই বিমানের বিষেশত্ব এটি যেকোনও বিমানঘাঁটি কিংবা সমুদ্রের ওপর ভেসে থাকা বিমানবাহী জাহাজের রানওয়ে থেকে উড়ে শত্রুর ঘাঁটিতে হামলা করতে পারবে।
মাকরেঁর কূটনৈতিক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বন গত বৃহস্পতিবার দিল্লি সফরে এসেছিলেন। জানা গিয়েছে, ওইদিন তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্টের সফরের মঞ্চও প্রস্তুত করে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক দুই বৈঠকে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন ইমালুয়েন বন। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মাকরেঁর। মোদী সেই সাক্ষাতকারের কথা তুলে ধরে সরকারিভাবে মাকরঁকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ করেন।
প্রথম দফায় ৩৬ টি রাফাল কেনাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মনমোহন সরকারের আমলে দাসোর সঙ্গে যে ছুক্তি হয়েছিল, অনীল আম্বানীর বিমান যন্ত্রাংশ সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তাতে বদল করেছে মোদী সরকার। আগের চুক্তিতে ঠিক হওয়া দরের তুলনায় অনেক বেশি দামে রাফাল বিমান কিনছে তারা।
অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি ছিল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উন্নততর যন্ত্রাংশ, অস্ত্র-সরঞ্জাম ইত্যাদি কেনার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন চুক্তিতে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই যার বিশদ বিবরণ দেওয়া সরকারের পক্ষে অসম্ভব। এই দুর্নীতির অভিযোগকে ২০১৯-এর লোকসভার ভোট-প্রচারে অন্যতম অস্ত্র করেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। বিরোধীদের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরে সেই রাফালকে আবারও নিজেদের অন্যতম সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছে মোদী সরকার।