২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Salman Rushdie: ন্যক্কারজনক হামলার জেরে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে সলমন রুশদির
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-13 16:43:09   Share:   

বুকারজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সলমন রুশদির (Salman Rushdie) উপর গতকাল আচমকাই হামলা(attack) হয়েছিল একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, ভেন্টিলেশনে(ventilation) রয়েছেন তিনি। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে তাঁর অস্ত্রোপচার(operation)। তাঁর একটি চোখ(eye) নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, বিতর্কিত উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার পর রুশদিকে খুনের ফতোয়া জারি করেছিলেন ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনি।    

নিউইয়র্ক পুলিস(police) সূত্রে জানা গেছে, রুশদির ওপর হামলা চালানো ব্যক্তির নাম হাদি মাতার। ২৪ বছর বয়সী ওই যুবক নিউ জার্সির(Newjersy) বাসিন্দা। আচমকা হামলার পর আক্রমণকারীকে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার(arrest) করে পুলিস। 

কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল? সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্কে ভাষণ দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন বুকারজয়ী সাহিত্যিক সলমন রুশদি। 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'-এর লেখক ১৯৮৮ সালে সেই বিতর্কিত বইটি লেখেন। জানা গেছে, এই বই লেখার অপরাধে শুক্রবার ভারতীয় বং‌শোদ্ভূত লেখকের উপর ছুরি নিয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালায় নিউ জার্সির যুবক হাদি মাতার। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ বার এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে বুকারজয়ী লেখককে। ছুরির কোপ বসানো হয় লেখকের ঘাড়ে-বুকে-পেটে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর ঘটনাস্থলে এসে পুলিস রুশদিকে হেলিকপ্টারে করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। গ্রেফতার করা হয় হামলাকারী হাদিকে। এখন পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। লেখকের বইয়ের এজেন্ট অ্যান্ড্রু উইলি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এক চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে রুশদির। তাঁর হাতের স্নায়ুও গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। উইলি আরও জানান, বুকে-পেটে ছুরি চালানোর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লেখকের যকৃৎ।

কিন্তু কে এই হাদি মাতার? হামলা চালানোর পিছনে কী কারণ?

প্রাথমিক তদন্তে নিউইয়র্ক পুলিস সূত্র অনুযায়ী, ইসলাম ধর্মাবলম্বী হাদি শিয়া সম্প্রদায়ের। হাদির জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায় হলেও আসলে সে ইরানি বংশোদ্ভূত। সে শিয়া কট্টরপন্থায় বিশ্বাসী। ইরানের ইসলামিক রেভিলিউশনারি গার্ড তথা IRG -র সমর্থক সে। তবে তিনি সরাসরি কোনও কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্য কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য, কিন্তু তার ফোনের মেসেজিং অ্যাপে ইরানের কমান্ডার কাসিম সুলেমানির ছবি পাওয়া গিয়েছে। ২০২০ সালে খুন হয়েছিলেন সুলেমানি।

 তার কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। পুলিস খোঁজার চেষ্টা করছে কাদের হয়ে এই হামলা চালাল মাতার? পুলিসের ধারণা, সে একাই এই কাজ করছিল। মঞ্চে একটি ব্যাকপ্যাক পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে ইলেকট্রনিক সরঞ্জামও। রুশদির অনুষ্ঠানের প্রবেশপত্র সে কীভাবে জোগাড় করল তা জানার চেষ্টায় পুলিস। জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া প্রবেশপত্রটি ছিল ফেয়ারভিউর একটি ঠিকানার। ম্যানহাটন থেকে হাডসন নদী পেরিয়ে ওই ছোট শহরের হাদির সর্বশেষ ঠিকানা ছিল বলে পুলিসের দাবি। 

শুক্রবার রাতে হাদির ঠিকানায় তল্লাশিতে গিয়েছিল আমেরিকার গোয়েন্দাসংস্থা এফবিআই। সেখানে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে দাবি গোয়েন্দা সংস্থার। হাদি ভুয়ো নথিপত্রের সাহায্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়েছিলেন বলেও প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তবে যে মঞ্চে রুশদির ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলেই আন্তর্জাতিক মহলের দাবি। প্রতক্ষ্যদর্শীদের দাবি, হাদি কালো শার্ট এবং কালো মুখোশ পরে ছিল।  



Follow us on :