১৬ মে, ২০২৪

ToothPari: ভালোবাসার কামড় খেতে চান, তবে দেখতেই হবে 'টুথ পরী'
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-04-25 16:47:48   Share:   

দীপিকা দাস: ভ্যাম্পায়ার ও মানুষের প্রেমকাহিনী বলতে প্রথমেই মাথায় আসে হলিউডের 'টোয়ালাইট' (Twilight), 'ভ্যাম্পায়ার ডায়েরিস'-এর কথা। কিন্তু এবারে ভ্যাম্পায়ার ও মানুষের প্রেমকাহিনীকে ভারতীয়করণ করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আনা হয়েছে 'টুথ পরী: হোয়েন লাভ বাইটস' (Tooth Pari: When Love Bites) ওয়েব সিরিজ। বলিউডে (Bollywood) এখনও পর্যন্ত হয়তো ভ্যাম্পায়ার নিয়ে তেমনভাবে কাজ করা হয়নি। ফলে এই ওয়েব সিরিজটি একটু অন্য স্বাদের, ফলে দর্শকদের কাছে এটা বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কল্পবিজ্ঞান, রোমাঞ্চ ও রহস্যে ঠাসা এই সিরিজ যেন এক রূপকথার গল্প। কলকাতার প্রেক্ষাপটে তৈরি করা এই সিরিজ নজর কাড়বে দর্শকদের, বিশেষ করে কলকাতাবাসীর।

প্রতীম দাশগুপ্তের হাত ধরেই ভারতবাসী এবারে বলিউডে একটু ভিন্ন স্বাদের সিরিজ দেখার সুযোগ পেলেন। ছবিতে যেমন বাংলা ভাষার সচরাচর ব্যবহার করা হয়েছে, তেমনি দেখানো হয়েছে, কলকাতার মেট্রো, ভিক্টোরিয়া, আনাচে-কানাচে অন্ধকার গলি, হাওড়া ব্রিজ। আবার সিরিজে দেখা গিয়েছে বাংলার অনেক জনপ্রিয় চেনা মুখ। অনেক বাঙালি অভিনেতা যেমন- অনিন্দিতা বোস, অঞ্জন দত্ত, খরাজ, ভাস্করকে দেখা গিয়েছে।  ফলে শহরবাসীরা চুটিয়ে মজা নিয়েছে এই আট পর্বের সিরিজের। সিরিজের যে প্রধান চরিত্র শান্তনু মাহেশ্বরিও কলকাতার ছেলে।

এবারে আসা যাক, সিরিজের গল্পে। ভ্যাম্পায়ার হয়ে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানিয়া মানিকতলা। তাঁকে এখানে রুমি নামে দেখা যায়। শান্তনুকে দেখা যায় এক ক্ষীণ হৃদয়ের, নরম মনের সাধারণ মানুষ ড. বিক্রম রায় নামের চরিত্রে। যিনি একজন ডেন্টাল সার্জেন। এই দু'জনের মধ্যেই হয় কীভাবে ধীরে ধীরে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও ভালোবাসার জন্য পরবর্তীতে কী কী করতে রাজি হয়, তা নিয়েই এই সিরিজ। প্রথমত সিরিজে সাধারণ মানুষ ও ভ্যাম্পায়ারদের পৃথকভাবে দেখানো হয়েছে, মাটির উপরের মানুষ ও মাটির নীচের মানুষ হিসাবে দেখানো হয়েছে। মাটির নীচে যারা থাকেন, তাদের কেমন ভাবে জীবন-যাপন করতে হয়।

প্রথম থেকে রুমি ও ড. রয়ের মধ্যে কেমিস্ট্রি ভালোভাবেই দেখানো হয়েছিল। কিন্তু পরে কোথাও যেন গল্প একঘেয়ে লাগছিল। কোনও কোনও জায়গায় গল্পের প্লট অন্য ছবির থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করা বলেও মনে হয়েছে। যেমন- মেট্রো প্ল্যাটফর্মের থামে হাত দিতেই অন্য দুনিয়ায় যাওয়ার রাস্তা খুলে যাচ্ছে। এমনটা হলিউড ছবি 'হ্যারি পটার'-এও দেখা গিয়েছে। আবার ভ্যাম্পায়রা দিনের আলোয় বেরোতে পারে না, রূপো-রসুনে তাদের অস্বস্তি হয়, এসবই হলিউড ভ্যাম্পায়ার ছবি থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে করা।

সিরিজে সিনেমাটোগ্রাফি, ব্যাক গ্রাউন্ড মিউজিক, ভালো মনে হলেও, স্টোরি লাইনে তেমন টানটান উত্তেজনা ছিল না। এত ভালো ভালো অভিনেতাদের নেওয়া হলেও তাঁদের দক্ষতাকে ঠিক মতো কাজে লাগানো হয়নি। শান্তনুর অভিনয় ছিল নজরকাড়া, শ্বাশত-তিলোত্তমার অভিনয় তাক লাগিয়েছে। তবে রুমির চরিত্রতে তানিয়ার অভিনয় তেমন আকর্ষণীয় ছিল না। ভ্যাম্পায়ার হিসাবে তিনি নিজেকে আরও ভালোভাবে ফুটিয় তুলতে পারতেন। তবে সবমিলিয়ে অন্য ধরনের স্বাদ পেতে এই সিরিজ দেখাই যায়, ভ্যাম্পায়ারপ্রেমীরা মিস করতে ভুলবেন না। সিরিজের শেষে এটাও নিশ্চিত যে এটাই শেষ পর্ব নয়, আরও সিজন আসতে চলেছে ভবিষ্যতে।


Follow us on :