২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Corona: চিনে ছড়ানো করোনার প্রজাতি নিয়ে আতঙ্কে নয়, সজাগ থাকুন
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-22 12:16:52   Share:   

ড.মানস ভূইঁয়া ( মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার) ঃ

রাজনীতি ও প্রশাসনের কাজে ব্যস্ত থাকলেও চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি হয়। তাই বাধ্য হয়েই কলম ধরলাম। দিব্বি চলছিল পৃথিবী তার নিজের গতিতে। পুজো উৎসব (Festive) শেষে এবার ডিসেম্বর। সরকারি স্কুলগুলির পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এবার খুদে পড়ুয়ারা কোথাও বেড়াতে যাবে কিংবা হয়তো পিকনিকে যাবে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। ঠিক এই সময়ে হঠাৎ কেন ফের করোনার (Corona) ঝংকার?

খবরটি নজরে এলো মঙ্গলবার রাতেই। আমেরিকার একটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রতিনিধি এরিক ফাইসন-ডিং জানিয়েছেন যে চিনে নাকি প্রবল ভাবে করোনার নতুন রূপ 'বিএফ ৭' এসেছে, ভাবনার বিষয়। বারবার ওদেশেই এই সমস্ত রোগের সৃষ্টি হচ্ছে এবং কোথাও বড্ড দেরিতে আমরা জানতে পারছি। যদিও আজ শুনলাম হু অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই চিনের কাছে সমস্ত তথ্য জানতে চেয়েছে।

এখনও পর্যন্ত যতটুকু জানা গিয়েছে করোনা সংক্রামণের ওমিক্রন প্রজাতির নতুন ভাইরাসের যে জন্ম হয়েছে তার নাম 'বিএফ ৭' , যা কিনা চিনে ছড়িয়ে গিয়েছে। এটিতে কয়েক লক্ষ লোক সংক্রামিত হয়েছে বলে খবর।

হু নিশ্চই দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি জানবে এবং প্রয়োজন মতো সতর্ক করবে। ভারতেও এই বার্তা এসেছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক আমাদের স্বাস্থ্য দফতরকে তা জানিয়েছে। এ বিষয় দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংক্রমণ নিয়ে যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন। বাংলায় কয়েক মাসে করোনা এক প্রকার বিদায় নিয়েছে। গত কয়েক দিনে সংক্রামিত হয়নি কেউই।

 তৎপর রয়েছে তাঁর স্বাস্থ্য দফতর থেকে চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো। কিন্তু আমরা তবু হাত পা গুটিয়ে বসেনেই|। একজন জন প্রতিনিধি এবং চিকিৎসক হিসাবে বলবো:

১) ফের মাস্ক পরা শুরু করুন

২) হাত পা পরিষ্কার করুন, স্যানেটাইজ করুন

 ৩) শীতের সময়,অলসতা চলবে না 

৪) হাত না ধুয়ে খাবার খাবেন না, জল বহন করুন বাইরে গেলে

৫) ভিড় বাড়াবেন না

৬) বাড়ির বাচ্চাদের সতর্ক রাখুন

৭) সর্দি/কাশি/জ্বর হলে অবশ্যই নিকটবর্তী চিকিৎসালয়ের সাথে যোগাযোগ করুন। 

সামনে অবশ্য পৌষ সংক্রান্তি এবং গঙ্গা সাগরের পথে অনেকেই যাবেন। নিশ্চিন্তে থাকুন সমস্ত সরকারি ব্যবস্থা রয়েছে।  সর্বোপরি আতঙ্কে নয় সতর্ক থাকুন। আতঙ্ক ছড়াবেন না।

আজকের এই করোনার প্রভাব কিন্তু অনেকটাই ম্রিয়মান। যেকোনও রোগ যখন প্রথম আসে তা হয়তো মারণ রোগ হিসাবে পরিগণিত হয়, তা স্প্যানিশ ফ্লু, স্মল পক্স বা যাই হোক না কেন তা পরবর্তীতে শক্তি হারিয়ে নিয়মিত রোগে পরিণত হয় বলেই দেখা গিয়েছে। তাই ভয় পাওয়ার মতো এখনও কিছু নেই। শেষে বলছি, কেন্দ্রীয় সরকার প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করে দায়িত্ব বন্টন করুন আমাদের। আমরা চিকিৎসকরা আছি জনতার সাথেই। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)


Follow us on :