Share this link via
Or copy link
এবারের লোকসভা ভোটে বাংলায় ইস্যুগুলির মধ্যে একেবারে প্রথমে রয়েছে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। এদিন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ভোট প্রচারে এসে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি তিনি এদিনও বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা গরিবদের হাতে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখে এদিনও উঠে এসেছে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। আর বাংলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপরে হামলার প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপরে হামলা সারা দেশ দেখেছে। তিনি বলেছেন, এখানে এমন পরিস্থিতি যে আদালতকে সব ব্যাপারেই হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার বাংলা এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র গরিবদের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে আর তৃণমূল সেই টাকা লুট হচ্ছে। তিনি বলেন, তৃণমূলের ছোট নেতাও বড় বাংলোয় থাকেন। কিন্তু চা-বাগানের দিকে তাদের কোনও নজর নেই। বাংলার চা-শিল্প দেশের মধ্যে সব থেকে পিছিয়ে।
গত পাঁচ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির ওপরে হামলার পরে ছয় এপ্রিল ভূপতিনগরে এনআইএ-র ওপরে হামলা হয়েছে। দুটি ঘটনাতেই অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, সারা দেশ কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপরে হামলার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, তোলাবাজদের বাঁচাতে তৎপর তৃণমূল। সেই জন্য তারা কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে বাধা দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখে এদিন উঠে এসেছে রাজ্যের রেশন ও নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গও। প্রধাননমন্ত্রীর অভিযোগ রাজ্যের সর্বত্র সিন্ডিকেট রাজ কায়েম হয়েছে। তবে সব কিছুর মধ্যে থেকেও প্রধানমন্ত্রী এদিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর গ্যারান্টির কথা বলেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন কেউ ছাড় পাবে না। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, জুন মাস থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে আরও গতি আসবে।
বাংলায় কেন্দ্রের উন্নয়নে ব্রেক কষছে তৃণমূল, এমন মন্তব্যও করেন তিনি। কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে চালু করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এদিনও প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতির কথা। তিনি বলেছেন, বাংলায় দুর্নীতির মাধ্যমে যারা টাকা জমিয়েছিল, তাদের তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি এব্যাপারে কথা বলছেন। ওই টাকা তিনি বাংলার গরিবদের দিনে চান বলে জানিয়েছেন।