০৪ মে, ২০২৪

Abhishek: অভিষেককে ছাড়া হলো?
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-04-21 18:31:02   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: হিন্দিতে প্রবাদ আছে পাহাড় খুদা নিকলে চুঁহা। বাংলা করার দরকার নেই। এই মূহুর্তে সবকটি বিরোধী দলের কাছে সবথেকে সমালোচিত তৃণমূল নেতার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দুবছর ধরে এমন একটি দিন যায়নি যেদিন বিরোধীরা অভিষেককে গালি না দিয়ে এক ঢোকে জল খেয়েছে। কি না বলা হয়েছে। অথচ এবারে লোকসভা নির্বাচনে সবার নজর ছিল অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে। ভাবা হচ্ছিল তাঁকে জব্দ করার জন্য জবরদস্ত প্রার্থী নিশ্চয়ই দেওয়া। কসরৎ কম হয় নি। জল্পনায় উঠে এসেছে বহু নাম কিন্তু শেষে অভিজিৎ দাস নামক এক অখ্যাত?

আসলে সাগরদিঘি ব্র্যান্ড করতে গিয়েই গুবলেট হয়েছে সব। শোনা যাচ্ছিল যে, আইএসএফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকি প্রার্থী হচ্ছেন। তেমন দাবি করেছিলেন নওশাদ। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিজিৎ গাঙ্গুলীও বলেছিলেন তিনি দাঁড়িয়ে লক্ষ লক্ষ ভোটে জিতবেন। কিন্তু দুজনেই সময় মত সরে গেলেন। নওশাদের যুক্তি অবশ্যই মানার মত। তিনি বুঝতে পারেন যে, সিএএ ইত্যাদি চক্কর তাঁর জমানত যেতে পারে। সিপিএম বা কংগ্রেস তা ঠেকাতে পারবে না। অন্যদিকে বিজেপির ধারনা ছিল যে যদি নওশাদ সংখ্যালঘু ভোটে থাবা দিতে পারে তবে বেশ হেভিওয়েট কাউকে দাঁড় করিয়ে জিতার লড়াই দেওয়া যাবে। কিন্তু নওশাদ রাজি না হওয়ায় সবকটি দলই বিপাকে পড়ল।

মুখ রক্ষায় সিপিএম একজন প্রার্থী দিল এবং দুদিন আগে বিজেপি প্রার্থী করল অনামী অভিজিৎ দাসকে। এই অভিজিৎবাবু আরএসএস করা নেতা। ২০০৯ এবং ২০১৪র লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন। ফের তাঁকেই প্রার্থী করা হল মূলত সঙ্ঘ পরিবারের নির্দেশেই বলে খবর। নাম এসেছিল অনেক। যথা কৌস্তভ বাগচী, রূদ্রনীল ঘোষ, শঙ্কুদেব পান্ডা ইত্যাদি কিন্তু সঙ্ঘ মন করেছে এদের বিজেপিতে মোটেই বিশ্বাস যোগ্যতা নেই। হারজিত পরের বিষয় কিন্তু লড়াইয়ে থাকুক আদি বিজেপি। ১ জুন ভোট। ফল ৪ জুন । অভিষেক নিশ্চিন্তে সারা বাংলায় প্রচারই করতে পারবে।


Follow us on :