২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Child: বেজেছে ছুটির ঘণ্টা! দুর্গাপুজো উদযাপনে সেকালের এবং একালের শিশুদের মনস্তাত্বিক বদল?
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-10-04 16:34:29   Share:   

সুজিত সাহা: শত ক্লান্তির মাঝে একমুঠো পুজোর গন্ধ দূর করে দেয় সব হতাশা আর মলিনতা। আনন্দময়ী মায়ের আগমনে আনন্দে উদ্ভাসিত আবালবৃদ্ধবনিতা। এবার পুজোর উন্মাদনা একটু বেশি। হতে পারে বছর দুই করোনার জন্য পুজো নিয়ে তেমন মাতামাতির সাহস হয়নি। বর্তমানে কচিকাচারা বেস উন্মুক্ত, ব্যস্ত। ন'দশটা পুজোর জামাকাপড় কোনদিন কীভাবে পরবে, কীভাবে সাজবে, কোথায় যাবে, কী খাবে সবের চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত। নিউক্লিয়াস ফ্যামিলিতে বাচ্চাদের পরিবার বলতে মা-বাবা। কালের নিয়মে ঠাকুর দেখার ধরন বদলেছে। আমাদের সময়ে গোটাকতক সমবয়সী ছেলেমেয়েদের জোটের এ মণ্ডপ থেকে ও মণ্ডপ ঘোরা। সকাল-সন্ধ্যা যখন ইচ্ছা, সময়ের কোনও বাঁধন নেই।

পুজো শেষে পরিসংখ্যান কে, ক'টা ঠাকুর দেখলো তার পরিমাপ। আমাদের শৈশবে নতুন পোশাকগুলো পুজো শেষে পরিপাটি করে দেরাজে তুলে রাখা হতো। কারণ এরপর লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজোয় পরতে হবে। কিন্তু বর্তমান বাচ্চাদের অনুভূতি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। তুই কোথায় খেয়েছিস? তোর এতগুলো জামা! আবার এতগুলো হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। হয়তো সরল শিশুমনে প্রভাব পড়ে পরিবার পরিবেশ থেকে। সে যাই হোক শিশু তো শিশুই। তাঁদের আনন্দ ভালবাসা নিয়েই তো শৈশব।

মুদিয়ালি বা শ্রীভূমি অথবা পাড়ার মণ্ডপে গাড়ি করে ঘোরা। বা পায়ে হেঁটে, একালের হোক বা সেকালের; শিশু মন চায় একটু ভিন্ন স্বাদ। গতানুগতিকতার বাইরে খোলামেলা জীবন। বাঁধনছেঁড়া অপু-দুর্গার রেলগাড়ি দেখার মতোন বিস্ময় চোখে কচিকাচারা নিজের মতো করে দুর্গাপুজো দেখার স্বাধীনতা, তাঁদের একাকিত্ব জীবনে খানিকটা অন্য হাওয়া বয়ে আনে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।    


Follow us on :