Breaking News
DA: অবশেষে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়      Bayron: দলবদলু বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে নিয়ে এবার উল্টো সুর মমতার গলায়      Congress: 'আমি তৃণমূলেরই লোক' দল পরিবর্তন করে দাবি সাগরদীঘির বিধায়ক বায়রনের      IPL: আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই বনাম গুজরাত, বৃষ্টি হলে কে জিতবে!      Prerona: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেরণার উদ্দেশে ভাষা সন্ত্রাস 'অনুপ্রেরণার'      kuntal: 'ব্যক্তিগত আলাপ নেই,' ভোল বদল অভিষেকের বক্তব্যে বুক চওড়া হয়ে যাওয়া নেতা কুন্তলের      Arjun: '৪০ কেজির ভুঁড়ি নিয়ে অপরাধী ধরবে?' ব্যারাকপুরে শুটআউটের ঘটনায় পুলিসকে তোপ সাংসদ অর্জুনের      Sudip: দশম সুদীপ মেটালো এক জীবন শিক্ষকের আক্ষেপ      Explosion: রাজ্যে সিংহভাগ বাজি কারখানাই অবৈধ, বৈধ ক'টি! কাদের মদতে এত বাড়বাড়ন্ত?      Madan: চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেডিকেল হাসপাতালেই মৃত্যু হল মদন মিত্রের পরিচিত শুভদীপের     

রাজনীতি

Mamata: তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ মেনেই পাটনায় বিরোধী বৈঠক ১২ জুন

প্রসূন গুপ্তঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ ছিল, বিরোধীদের বৈঠক হোক কিন্তু দিল্লিতে নয়, হোক পাটনায়। যেদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব নবান্নে এসেছিলেন সেদিনই এই প্রস্তাব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে রাখেন। পরে বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বলে মূলত নীতীশের আয়োজনে পাটনায় এই বৈঠক হচ্ছে।

এবারে প্রশ্ন, উপস্থিত থাকছেন কারা? গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি যাবেন না। দেখা গেল আগে না জানালেও অধিকাংশ অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই গরহাজির। পরদিন রবিবার ছিল নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন। সেখানেও বিরোধী ২০টি বিরোধী দল অনুপস্থিত ছিল। যুক্তি ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানানো। যদিও বাহানা রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি কিন্তু ওই ঘটনার মাধ্যমে একটা বিরোধী ঐক্য গড়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য। একই সাথে ভারতের পদক জয়ী খেলোয়াড়দের গ্রেফতারির ঘটনাও তাঁদের নতুন তথ্য জোগান দিয়েছে।

বিরোধীদের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী কংগ্রেস যেমন জোট হওয়ার কাজে উদ্যোগ নিয়েছে, তেমন রয়েছে নীতীশের জেডিইউ, লালুর আরজেডি, জেএমএম, ডিএমকে, এনসিপি, শিবসেনা (উদ্ধব) ইত্যাদি। তবে কংগ্রেসের বিরোধী হলেও থাকছে তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, তেলেঙ্গানার টিআরএস।

তবে কি বিজেপি একা। না তার অনেক সমর্থক এসে গিয়েছে যাদের ঠিক জোটসঙ্গী বলা যায় না। আছে বিজেডি, এআইএডিএমকে, শিরোমনি আকালি দল। অন্ধ্রের চন্দ্রবাবুর দল বা জগন্ময় রেড্ডির দলও রয়েছে মোদীর পাশে। মজার বিষয় এক সময়ের মোদী বিরোধী দেবেগৌড়ার দল জেডিএস সম্প্রতি কর্ণাটকের ভোটে খুবই খারাপ ফল করেছে, কাজেই তাদের কোনও পছন্দ নেই। সুতরাং রবিবারে আসবো না বলেও সংসদ ভবনের উদ্বোধনে তারা উপস্থিত ছিল।

২০২৪-এর নির্বাচনের আগে সাভারকরের জন্মদিনে সংসদ ভবন উদ্বোধন করে প্রকারান্তে আরএসএস-কে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।

2 days ago
BJP: রাজ্য সংগঠনের চূড়ান্ত সমালোচনায় দিলীপ ঘোষ

প্রসূন গুপ্তঃ রবিবার বিজেপির রাজ্য কমিটির এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। আয়োজিত হয়েছিল কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে। সভার আলোচনার মূল বিষয় ছিল, নরেন্দ্র মোদী সরকারের নবম বর্ষপূর্তি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর বক্তব্যে জানান, সরকারের বর্ষপূর্তি এবং কাজের উন্নয়নের কথা জনগণের কাছে জানাতে হবে। আগামী ৩০ মে থেকে ৩০ জুন অবধি রাজ্যজুড়ে প্রচার অভিযানে নামবেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। বনশল জানান, দলের মধ্যে ছ্যুৎমার্গ চলবে না। পরোক্ষে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বোঝান বনশল। এই ভাবে চললে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে, জানান বনশল।

পাশাপাশি বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়ার জন্য। অবশ্য সুর চড়া করে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু বলেন যে, সংগঠনের ত্রুটি রয়েছে। নিচু তলার কর্মীদের সঙ্গে উচ্চ নেতাদের যোগাযোগ নেই মোটেই। তিনি বিভিন্ন সময়ে জেলায় জেলায় গিয়ে দেখেছেন যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কর্মীদের উপর। তিনি তাঁর বক্তব্যে কড়া বার্তা দেন। তাঁর ভাষণের বিরোধিতা করতে দেখা যায় নি। বিজেপি কর্মীদের অন্দরের কথা, দিলীপবাবু যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন সংগঠন চাঙ্গা ছিল এবং এই সময়েই বিজেপির ভোট বাড়ে। গত লোকসভায় বিজেপি ১৮টি আসন জয় করে দিলীপের নেতৃত্বে। দিলীপবাবু 'চায়ের আড্ডা' যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল বলে দাবি দলের কর্মীদের।

অবিশ্যি এটাও বাস্তব যে বিজেপির ভোট বেড়েছিল মূলত সিপিএম তথা বামেদের ভোটেই। ২০১৬ তে বিজেপির ভোট এই রাজ্যে ছিল মাত্র ১০ শতাংশ, কিন্তু ২০১৯-এ তা বেড়ে হয়ে যায় ৩৯ শতাংশ। অন্যদিকে, বামেদের ভোট কমে দাঁড়ায় মাত্র ৭-৯ শতাংশ। কাজেই প্রশ্ন থাকে বাম ভোট কমে কি বিজেপিতে গেলো? খতিয়ে দেখছে দল যে কোনও কারণে ২০২১ ভোট পর থেকেই বিজেপির ভোট ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে। সাগরদিঘিতে বিজেপির জামানত গিয়েছে এবং নদীয়া জেলায় সমবায় ভোট বিজেপি শূন্য হয়ে গিয়েছে যেখানে সিপিএমের ভোট বেড়েছে। কাজেই সুনীল বনশল দলের সংগঠনের উপর জোর দিচ্ছেন।

a week ago
TMC: অভিষেকের দিক থেকে মিডিয়ার নজর সরাতে 'গেম' মদনের!

প্রসূন গুপ্তঃ একটা সময়ে যখন প্রিন্ট মিডিয়া ছাড়া আর তেমন কিছুই ছিল না। বৈদ্যুতিন মাধ্যম, সরকারি চ্যানেল এসেছিলো অনেক পরে। ওই সময়ে 'ঘোড়ার মুখের খবর' বলতে যা হত তা নেহাতই মামুলি। ঘোড়ার মুখ বলতে কোনও রাজনৈতিক থেকে শুরু করে কোনও কিছুর গোপন খবর। তবে অনেক সময়ে অনেক প্রাজ্ঞ সাংবাদিক খবর করতেন সোর্স এবং অভিজ্ঞতা মিলিয়ে। আজকের দিনে বৈদ্যুতিন মাধ্যম অনেক শক্তিশালী, তার অন্যতম কারণ তারা সরাসরি দর্শককে দেখিয়ে দিচ্ছে। অবিশ্যি তাঁর সঙ্গে অভিজ্ঞতারও একটি মূল্য আছে।

শনিবার কেউ কেউ বলেই দিয়েছিলেন যে, অভিষেক যাচ্ছেন কিন্তু সন্ধ্যার মধ্যে ফিরেও আসবেন। যুক্তিতে বুঝিয়েছিলেন, এটি মামুলি সাক্ষ্য দিতেই সিবিআই অভিষেককে ডেকেছিল। অভিষেক যখন হাসিমুখে সিবিআই দফতরে প্রবেশ করলেন এবং মিডিয়াকে দেখে হাত নাড়ালেন, তখনই বোঝা উচিত ছিল তাঁর বেরিয়ে আসাটা শুধু সময়ের অপেক্ষো। এর আগে যারা যখনই এই দফতরে এসেছেন, তাদের মুখেচোখে দেখা গিয়েছিলো আতঙ্ক যা অভিষেকের কোনও বারও দেখা যায় নি।

খবর দুই, মদন মিত্র। হঠাৎই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ প্রকাশ করলেন। তাঁর ব্যঙ্গোক্তি শোনা গেলো শুক্রবার রাত থেকেই। কারণ তাঁর পরিচিত কোনও অসুস্থ ব্যক্তিকে এসএসকেএম হাসপাতালে নাকি ভর্তি নেওয়া হয় নি। ওই অসুস্থ ব্যক্তিকে নাকি আইসিসিইউতে ভর্তির আবেদন করেছিলেন মদন। এই সরকারি হাসপাতালে বরাবরই মদনের একটা যোগাযোগ ছিল। এমনকি বাম জমানাতেও মদনের কাছে উপকৃত হয়েছে বহু মানুষ। এ হেন মদন মিত্র বিদ্রোহী হলেন কেন? 

মনে রাখতে হবে সিবিআই যখন মদনকে গ্রেফতার করে আড়াই বছর জেলে রেখেছিলো, তখনও মদন দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। অনেকেই বলেন মদন একেবারে গোড়ার দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন অনুগত সৈনিক হিসাবে। সেই মদন হঠাৎ বিদ্রোহী হলেন কেন। প্রাজ্ঞ সাংবাদিক বলছেন, একেবারে মিডিয়াকে বোকা বানিয়েছেন মদন। অভিষেকের দিক থেকে খবর সরিয়ে নেওয়ার জন্যই নাকি 'গেম মদন'। এবারে বিবেচনার বিষয় জনতার।  [সব জায়গায় এমনই গুঞ্জন ছড়িয়েছে]

a week ago


Bayron: বায়রনের জন্য মমতার দুয়ার সবসময় খোলা, সাগরদিঘির বিধায়ক বললেন কংগ্রেসে ছিলাম......

মনি ভট্টাচার্য: 'আমি কংগ্রেসে ছিলাম, কংগ্রেসে আছি, কংগ্রেসেই থাকব।' সিএন ডিজিটালকে সাফ জানালেন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির (Sagardighi) বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস (Bayron Biswas)। বর্তমানে শাসকদলের কাছে সাগরদিঘি যে এক্সফ্যাক্টর সেটা স্পষ্ট হয়েছে সংখ্যালঘু দফতর মমতা (Mamata Banerjee) নিজের কব্জায় নেওয়ার পরই। এরপর জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায় রানীনগরের সভা থেকে বায়রনকে উদ্দেশ্য করে বার্তা দেন যে তাঁর জন্য মমতার দুয়ার সবসময় খোলা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। এবার সিএন ডিজিটালের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত মুখ খুললেন বায়রন বিশ্বাস। জানালেন কী করবেন এবং আগাম প্রস্তুতি কী।

রানীনগরে অভিষেকের বার্তার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাওয়া নিয়ে বায়রনের স্পষ্ট মত, 'অবশ্যই যাবো। সাগরদীঘির উন্নয়নের জন্য অবশ্যই যাবো। কিন্তু ওদের দলে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসছে না।'

সম্প্রতি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মহলে কানাঘুষো শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বায়রন বিশ্বাসকে সরকারি কোনও পদে বসাতে পারেন। সে বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না বলেই জানান তিনি। এ বিষয়ে সোমবার সিএন-ডিজিটালকে বায়রন বলেন, 'সাগরদিঘির উন্নয়নের কাজে প্রয়োজন হলে অবশ্যই পদ গ্রহণ করব। কিন্তু দলীয় পদ গ্রহণ করব না।' বায়রন বলেন, 'সরকারি পদের সঙ্গে তৃণমূলে যোগদানের কোনও সম্পর্ক নেই, ফলে উন্নয়ন করার সুযোগ থাকলে সেই পদ গ্রহণ করব।'

রাজ্য যখন তৃণমূলের জয়ের জোয়ার, সংখ্যালঘু ভোট যখন তৃণমূলের শিয়রে। তখন সাগরদিঘিতে হঠাৎ একটা ছেলে কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়ে গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে, দুর্নীতি হলে, কাজে গাফিলতি থাকলে সংখ্যালঘু ভোট ঘুরে যেতে পারে, আর সেটিই যে এক্সফ্যাক্টর হতে পারে সেটা ভালোমতই জানেন মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্যই হয়ত সাগরদিঘির হারের পরেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর নিজের হাতে নিয়েছেন। এবার ওই কেন্দ্রের জয়ী কংগ্রেসের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। স্পষ্ট জানিয়েছেন, তৃণমূলের দুয়ার তাঁর জন্য সবসময় খোলা।

সাগরদিঘি এক্সফ্যাক্টর বুঝেই কি তৃণমূল বায়রনকে প্রভাবিত করতে চাইছে! এ প্রশ্নের উত্তরে সিএন-ডিজিটালকে বায়রন বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'এটা নিজের উপর নির্ভর করে, ওরা প্রভাবিত করলেই যে আমি চলে যাবো এরকম কোনও ব্যাপার না। ওরা প্রস্তাব দিতে পারে, কিন্তু আমার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। আমি আবার বলছি, আমি কংগ্রেসে ছিলাম, কংগ্রেসে আছি, কংগ্রেসেই থাকব।' বায়রন অবশ্য এরপরে আরও বলেন, 'উন্নয়নের জন্য কোনও সরকারি পদ দিলে আমি অবশ্যই যাবো।'

3 weeks ago
Abhisekh: মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে নেতাদেরঃ অভিষেক

দু'মাসের সফর নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) শুরু করেছেন দলের প্রচার। প্রচার অবশ্যই পঞ্চায়েত ও লোকসভাকে কেন্দ্র করে। তিনি প্রচার শুরু করেছেন ডুয়ার্স অঞ্চল থেকে এবং এখন রয়েছেন উত্তর-মধ্য বাংলায় অর্থাৎ বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর সেরে মালদহের পথে। তাঁর এই দুই মাসের সফরে কোনও রিসোর্ট বা হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে না, থাকছেন তাঁবুতে।

ডুয়ার্স অঞ্চলে বারবার অভিষেক যাচ্ছেন এই কারণে যে, বিগত লোকসভাতে উত্তর বাংলা অঞ্চলের সবকটি আসন হারিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিধানসভা অঞ্চলে দিনাজপুরের দুটি জেলাতে মোটামুটি ফল ভালোই হয়েছিল গত বিধানসভার ভোটে। যেহেতু ডুয়ার্স অঞ্চল অর্থাৎ আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এই চার জেলাতে কিন্তু বিধানসভায় ফের ফল খুবই খারাপ হয়েছিল তৃণমূলের। ফলে অভিষেক ডুয়ার্স অঞ্চলের খোল নলচে পাল্টে ফেলতে চাইছেন। তিনি অভিনব একটি পদ্ধতি চালু করেছেন। দলের অন্দরের ব্যালট পেপার তৈরি করে বিভিন্ন সভায় সাধারণ জনতার কাছ থেকে ভোট মারফত জানতে চাইছেন যে, কে কে উপযুক্ত প্রার্থী। যদিও এই ব্যালট পদ্ধতিতে বেশ কিছু জাইগায় ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তার মধ্যেই এলাকার ভোটারদের পালস বুঝে নিচ্ছেন অভিষেক।

মঙ্গলবার জনসভায় তিনি পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন যে, মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। লোক দেখানো নেতাগিরি চলবে না। তিনি বলেছেন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তিনি বুঝেছেন, পঞ্চায়েত নেতা, বিধায়ক বা অন্য নেতাদের কিছু মানুষ কোনও যোগাযোগ রাখেন না এলাকার মানুষের সঙ্গে, এমনকী ফোন করলে তাও ধরেন না। এইভাবে চলবে না। জনসংযোগ বাড়াবার কথা বারবার বলা হচ্ছে। তিনি বলেন টিকিট কারা পাবে ভোটে তা ঠিক করবে এলাকার ভোটাররা, কাজেই ভোট নেওয়া হচ্ছে। যদিও এটা বাস্তব বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী রয়েছেন। কিন্তু সিপিএমের এখনও কোনও প্রচারের উপযুক্ত মুখ তৈরি হয়নি। অন্যদিকে, বিজেপির প্রচারক আছে, ঠিকই কিন্তু এখনও তারা মাঠেই নামেননি। ফলে যতই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকুক তৃণমূলের মধ্যে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি এখনও আসে নি।

4 weeks ago


CPIM: জাস্টিস গাঙ্গুলির রায়ে কি অতিরিক্ত লাভবান বামেরা! আসন্ন পঞ্চায়েতে তাদের টার্গেট কি জানুন

ভারতবর্ষের একমাত্র দলসমূহ কমিউনিস্টরা (Communist), যাদের স্ট্রাটেজি বোঝা দুস্কর বিশেষ করে সিপিএম (CPIM)। বিশ্ব রাজনীতিতে যেখানেই কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় এসেছে, দেখা গিয়েছে তারা তাদের ভাষায় জাতীয় বুর্জুয়াদের হাত ধরেই এসেছে। ব্যতিক্রম নয় এ রাজ্যেও। ১৯৬৭-তে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ক্ষমতায় এসেছিলো যুক্তফ্রন্ট গড়ে, অজয় মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে। ৩৪ বছরের শাসন চালিয়েছিল কিন্তু ক্ষমতায় এসেছিলো তৎকালীন জনতা পার্টির এবং প্রফুল্ল সেনের হাত ধরে। বাস্তব ঘটনা এই যে তারা প্রাথমিক ভাবে পরজীবীর মতো থাকে এবং ক্ষমতায় এলে প্রথমেই বাতিলের খাতায় পাঠায় যাদের হাত ধরে আসে। এবারের নতুন বন্ধু কংগ্রেস, যাদের সঙ্গে জোট বেঁধেছে কয়েক বছর ধরে। বেশ কয়েকটি নির্বাচন লড়লোও তারা।

মনে রাখতে হবে আজ থেকে ঠিক দু বছর আগে ,ঠিক আজকের দিনেই তাদের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আসন সংখ্যা শূন্য হয়ে গিয়েছিলো। অবশ্য পরে বেশ কিছু উপনির্বাচনে সর্বোপরি পৌর নির্বাচনে তারা বিজেপিকে তৃতীয় স্থানে ফেলে দ্বিতীয়তে উঠে এসেছে। একটি পুরসভা দখলও নিয়েছে। এরপর সাগরদিঘি নির্বাচনে কংগ্রেসকে সঙ্গী করে নিজেরা মূল প্রচারে নেমে কংগ্রেসকে প্রথম আসন জিততে সাহায্য করেছে। এবারে লক্ষ পঞ্চায়েত তারপর লোকসভা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সরে যাওয়াতে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিন্তু সিপিএম কারণ বিচারপতি যত আদেশ দিয়েছেন তার ফায়দা নিয়েছিল বামেরা।

পথে নেমে চাকুরী প্রার্থীদের এবং ডিএ দাবিদারদের পাশে নিয়মিত ভাবে সিপিএম দাঁড়িয়েছিল। বিজেপির মতো অত মিডিয়ার সাহায্য না পেলেও সোশ্যাল নেটে তারা বিশাল ভাবে প্রচার করেছিল। আপাতত সিবিআইয়ের দিকে তাকিয়ে সিপিএম। অবশ্যি তারা কিন্তু গ্রামেগঞ্জে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার চালাচ্ছে এবং টার্গেট করেছে মুসলিম ভোট। যদিও এই কঠিন বাস্তব আজকের বিজেপির ভোটের সিংহভাগই বাম ভোট। বামেদের ২০১১-র ভোট ছিল প্রায় ৩৯ শতাংশ। ২০১৯-এ ওই শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট চলে যায় বিজেপির বাক্সে। কাজেই ওই কমিটেড সিপিএম ভোট যদি ফেরত না আসে তবে দুর্ভোগ আছে তাদের। সুতরাং তারা এক তরফা তৃণমূলের বিরোধিতা করে ভোট ফেরত আনার চেষ্টায় রয়েছে।

4 weeks ago
Vote: মে-র শেষে অথবা জুনের প্রথমে হয়তো পঞ্চায়েত ভোট, কতটা প্রস্তুত বাংলা

প্রসূন গুপ্ত: পৌর ভোটের মতোই পঞ্চায়েত ভোট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে। কাজেই তিনি ভোটের দিন ঘোষণা করবেন। অবশ্য এ বিষয়ে অলিখিত আলোচনা থাকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে।  যতটুকু তৃণমূলের অন্দরের খবর তাতে হয়তো মে-র শেষে অথবা জুনের প্রথম দশ দিনের মধ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে। এই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু খুব একটা সুবিধা হয়নি। এখন প্রশ্ন হল, বিরোধী দল মনে করে যে ২০১৮-র মতো যদি ভোট হয় তবে তা প্রহসনে পরিণত হবে। সমবায় ভোটের মতো বিরোধীদের এককাট্টা করে ভোট যুদ্ধে নামার একটা চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখানেও সুবিধা খুব একটা নেই।

সম্প্রতি বিধাননগরের পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে একটি সভা হয়েছে। সেখানে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী পরিষ্কার বার্তা দিয়েছিলেন, বিজেপি একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে পঞ্চায়েত ভোটে। যদি 'বিশেষ' কেউ তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে চান তবে তাঁকে পদ্ম চিহ্নেই লড়তে হবে। বিজেপি কাউকে সরাসরি অথবা পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করবে না। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতা-সহ রাজ্য বিজেপির সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। দেবশ্রীর পরিষ্কার বার্তা, যে বিধানসভার বিরোধী নেতাকে দিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট।

অন্যদিকে শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন, মমতা আন্দোলন করে, সংগঠন করে ক্ষমতায় এসেছেন। কাজেই রাজ্য বিজেপির নেতারা যেন সংগঠনের দিকে জোর দেন। তিনি জানিয়েছেন এজেন্সি লাগিয়ে একটি দলকে চাপ দেওয়ার বিষয়কে তিনি সমর্থন করেন না। এখন তিনি শেষবার এসে সরাসরি কথা বলেন সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে। কিন্তু সামনে নির্বাচন এখনও বিজেপির প্রস্তুতির চিত্র পরিষ্কার নয়। ফের অমিত এ রাজ্যে আসছেন ৯ মে, তা অবশ্য কবিগুরুর জন্মদিন উপলক্ষে। কাজেই ৯ মে নতুন কিছু বার্তা দেন কিনা সেটাই দেখার। তবে আগামী ২৮ এপ্রিল ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে বলেই খবর।

a month ago
Tufanganj: অভিষেকের সভার আগেই তুফানগঞ্জের তৃণমূলে ভাঙন, ৩২ নেতার ইস্তফা

কোচবিহারে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির শুরুতেই বিশৃঙ্খলার ছবি দেখা গিয়েছে। নিজের প্রার্থী নিজে বেছে নেওয়ার অভিযানে ব্যালট বাক্স নিয়ে মারামারি, একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর অভিযোগ করছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। এ বার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandopadhyay) জনসংযোগ যাত্রার আগে, মঙ্গলবার দল বেঁধে ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন তুফানগঞ্জের (Tufanganj) কয়েক জন নেতা। ওই নেতাদের অভিযোগ, তাঁরা উচ্চ নেতৃত্বের কাছে অবহেলিত। তাঁদের কোনও দাবিই মানা হয়নি। কোনও আবেদনও শোনা হয়নি।

বুধবার তুফানগঞ্জে সভা রয়েছে অভিষেকের। তার আগে এই ইস্তফা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক শিবির। যদিও স্থানীয় নেতৃত্ব দাবি করেছেন কেউই দল ছাড়েননি। তবে তাঁরা ব্যাপারটা দেখছেন। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ জনসংযোগ কর্মসূচিকোচবিহারে (Cooch Behar) ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির শুরুতেই বিশৃঙ্খলার ছবি দেখা গিয়েছে। নিজের প্রার্থী নিজে বেছে নেওয়ার অভিযানে ব্যালট বাক্স নিয়ে মারামারি, একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর অভিযোগ করছে তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠী। এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ যাত্রার আগে, মঙ্গলবার দল বেঁধে ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন তুফানগঞ্জের (Tufanganj) কয়েক জন নেতা। ওই নেতাদের অভিযোগ, তাঁরা উচ্চ নেতৃত্বের কাছে অবহেলিত। তাঁদের কোনও দাবিই মানা হয়নি। কোনও আবেদনও শোনা হয়নি।

বুধবার তুফানগঞ্জে সভা রয়েছে অভিষেকের। তার আগে এই ইস্তফা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক শিবির। যদিও স্থানীয় নেতৃত্ব দাবি করেছেন কেউই দল ছাড়েননি। তবে তাঁরা ব্যাপারটা দেখছেন। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ জনসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসাবে তুফানগঞ্জের চিলাখানা এবং ক্রীড়া সংস্থার মাঠে সভা রয়েছে অভিষেকের। সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার আগে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ৩২ জন তৃণমূল নেতা দল ছাড়ছেন বলে জানালেন। মঙ্গলবার বিকেলে তুফানগঞ্জের ১ নম্বর ব্লকের ধলপল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই তৃণমূল নেতারা জানান, তাঁরা অনেক দিন থেকে দল করছেন। কিন্তু দলে আর পুরনো নেতা-কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। বিভিন্ন অসন্তোষের কারণে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বুথ সভাপতি, অঞ্চল সম্পাদক এবং ব্লক কমিটির সদস্যেরা। ইস্তফাপত্র হাতে নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য নিজামউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘দলের সাফল্যের সময় যেমন কোনও কাজ পাইনি, ব্যর্থতারও কোনও দায় নেব না। আমরা আলোচনা করে মোট ৩২ জন ইস্তফা দিয়েছি।’

অভিষেকের কোচবিহার সফরের মধ্যে এই ইস্তফা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি যুগল কিশোর দাস। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যালট বাক্স নিয়ে মারামারি, ইস্তফা তারই প্রমাণ।’র অংশ হিসাবে তুফানগঞ্জের চিলাখানা এবং ক্রীড়া সংস্থার মাঠে সভা রয়েছে অভিষেকের। সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার আগে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ৩২ জন তৃণমূল নেতা দল ছাড়ছেন বলে জানালেন। মঙ্গলবার বিকেলে তুফানগঞ্জের ১ নম্বর ব্লকের ধলপল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই তৃণমূল নেতারা জানান, তাঁরা অনেক দিন থেকে দল করছেন। কিন্তু দলে আর পুরনো নেতা-কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। বিভিন্ন অসন্তোষের কারণে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বুথ সভাপতি, অঞ্চল সম্পাদক এবং ব্লক কমিটির সদস্যেরা। ইস্তফাপত্র হাতে নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য নিজামউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘দলের সাফল্যের সময় যেমন কোনও কাজ পাইনি, ব্যর্থতারও কোনও দায় নেব না। আমরা আলোচনা করে মোট ৩২ জন ইস্তফা দিয়েছি।’

অভিষেকের কোচবিহার সফরের মধ্যে এই ইস্তফা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি যুগল কিশোর দাস। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যালট বাক্স নিয়ে মারামারি, ইস্তফা তারই প্রমাণ।’

a month ago


Mamata: 'বিরোধী জোট গঠনের বৈঠক হোক বিহারে', নীতীশকে পাশে বসিয়ে ঘোষণা মমতার

বিহারেই হোক বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের বৈঠক। নীতীশ-তেজস্বীকে পাশে বসিয়ে এই প্রস্তাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ছোট একটা বৈঠক তারপরে সবাই মিলে বসে একটা বার্তা দেওয়া যে বিজেপি-বিরোধী সব দল এক। এভাবেই বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনে উদ্যোগী হয়ে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই সময় তাঁর পাশে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং ডেপুটি সিএম তেজস্বী যাদবকে।

তিনি জানান, 'বিজেপি খুব বড় হিরো হয়ে গিয়েছে, আমি চাই ওরা জিরো হয়ে যাক। নীতীশজি সবার সঙ্গে কথা বলছে, আমিও বলছি। সবাই মিলে বসে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবো।' এদিকে জোট ফর্মুলা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের মিশন, ভিশন পরিষ্কার। সবাই মিলে একসঙ্গে বসুক, তারপর সিদ্ধান্ত নেবো।' 

নবান্নে হওয়া এই বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, 'পরবর্তীকালে কারা কারা জেলে যাবে, জেলে গেলে তারপর কী হবে, সেসব নিয়ে বৈঠক।' সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'বিরোধীরা একজোট হতে চাইছে, এই সমীকরণে তৃণমূল কংগ্রেস নেই। আদানি-কাণ্ডে তৃণমূলের প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এছাড়া দুই পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একে অপরের সঙ্গে দেখা করতেই পারে।'

a month ago
Abhishek:জনসংযোগে কোচবিহারে অভিষেক, মদনমোহন মন্দিরে পুজো!মমতার শুভেচ্ছাবার্তা

মঙ্গলবার কোচবিহারের (CoochBehar) দিনহাটা থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই লক্ষে সোমবার কোচবিহার পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কর্মসূচি শুরুর ঠিক একদিন আগে টুইট করে অভিষেককে অভিনন্দন জানিয়ে উৎসাহ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার টুইট করে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূল নব জোয়ার হল একটি প্রথম অভিনব রাজনৈতিক প্রয়াস। এই প্রয়াসের জন্য আমি অভিষেক এবং দলের কর্মীদের জনসংযোগ যাত্রা শুরু করার জন্য আন্তরিক ভাবে অভিনন্দন জানাতে চাই। এই যাত্রা রাজ্যজুড়ে হবে।’ সোমবার বিকেলে কোচবিহার পৌঁছে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। পরদিন থেকে শুরু করবেন জনসংযোগ যাত্রা (Janasangjog Rally)।

এই কর্মসূচিতে আগামী ৬০ দিনের সূচি সাজিয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করে ৬০তম দিনে তা সাগরে এসে শেষ হবে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের এই কর্মসূচর ঘোষণা করেন অভিষেক। পঞ্চায়েতে দলের প্রার্থী খুঁজতে ২৫০টি জনসভা করবেন তিনি, সঙ্গে হবে ৬০টি অধিবেশন। ৩০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ করার পাশাপাশি ৩,৫০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবেন তিনি। এই কর্মসূচিতে তিনি অস্থায়ী ছাউনিতে রাত্রিযাপন করবেন। এই কর্মসূচি সফল করতে রবিবার রাজ্য এবং জেলাস্তরে নির্বাচনী কমিটি গঠন করল তৃণমূল।

রাজ্যস্তরের এবং জেলাস্তরের কমিটির কাজ কী হবে সে বিষয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের ২২ জন শীর্ষ নেতা। জেলাভিত্তিক ৮টি জোন তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের একটি করে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে ৬ থেকে ১০ জন তৃণমূল নেতাকে। এই কমিটিগুলির কাজ হবে গোটা প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। সেই সঙ্গে ভোটার তালিকা তৈরি করা থেকে শুরু করে যাঁরা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন, তাঁরা যাতে সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

গ্রামবাংলার মতামত সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের ইনচার্জ এবং কো-ইনচার্জদের বিশেষভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। রাজ্যস্তরের যে নির্বাচনী কমিটি তৈরি করা হয়েছে তার চেয়ারম্যান করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে। কমিটির বাকি সদস্যেরা হলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুইয়াঁ, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস-সহ ২২ জন নেতা। কলকাতা বাদে রাজ্যের ২২টি জেলাকে ৮টি ভাগে ভাগ করে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।

a month ago


Nitish: দিল্লির মসনদের লক্ষেই কি সক্রিয় 'উচ্চাকাঙ্ক্ষী' নীতীশ,বিরোধী জোট কোথায় দাঁড়িয়ে

প্রসূন গুপ্ত: বিজেপি বিরোধী জোট করতে তৎপর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি হঠাৎ কেন এতটা উৎসাহী, এই নিয়ে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। সোমবার তিনি এলেন নবান্নে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করতে। বৈঠক একেবারেই একান্তে। অন্যদিকে কংগ্রেস চেষ্টা করছে বিজেপি-বিরোধী জোটকে একত্রিত করতে। একটা সুবিধা কংগ্রেসের আছে, তাদের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ বিহারে আরজেডি-জনতা দল(ইউ)-এর সঙ্গে জোট। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-র সঙ্গে জোট, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র সঙ্গে, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব শিবসেনা ও এনসিপির সঙ্গে জোট।

তবে উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদব এবং বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে অনীহা। হাত শিবিরের যোগ দিতে অনীহা তেলেঙ্গানার টিআরএস, আপ পার্টিরও। এদের সমস্যা অনেক ১) মোদী বিরোধিতার জায়গা থাকলেও কংগ্রেসকে অপছন্দ ২) প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে? ৩) জোট হলে আসন সমঝোতা করতে নারাজ অনেকেই। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ভারত যাত্রা বেশ কিছুটা সার্থক হলেও রাহুল নিজে বিরোধী নেতা হতে চাইছেন না। তাঁরা তুলে ধরছেন মালিকার্জুন খাড়গেকে। তিনি দলিত নেতা কাজেই গ্রহণযোগ্যতা নাকি তাঁরই বেশি। এই হয়তো-নয়তো নিয়ে রাজনীতে কতটা সার্থকতা আসে তাই প্রশ্ন বিশেষজ্ঞ মহলে।

তবুও শরদ পাওয়ারের মত প্রবীণ নেতা মনে করেন যে বিরোধী জোটে মমতাকে দরকার, দরকার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ফলে অভিজ্ঞ নীতীশ কুমার ময়দানে নেমেছেন। আজ যেমন তিনি মমতার মুখোমুখি তেমনি কলকাতার পরে তিনি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে নিয়ে লখনৌ যাচ্ছেন সমাজবাদী দলের সঙ্গে কথা বলতে। এটা বাস্তব জওহরলাল নেহেরুর পরে টানা তিনবার কেউ বা কোনও দল দিল্লির মসনদ ধরে রাখতে পারেনি। পারাটাও কঠিন কারণ ত্রুটি থাকবেই কাজে এবং তাকে কেন্দ্র করে বিরোধী হাওয়া ওঠে। এটা বাস্তব আজকেও এত সমস্যার পরেও নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা যথেষ্ট ভাল। কিন্তু সবটাই ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় চলে না।

যদিও উচ্চাকাঙ্ক্ষী নীতীশের দীর্ঘদিনের নজর দিল্লির মসনদ। এদিকে, মোদী মন্তব্যর জেরে রাহুল গান্ধীর জেল যাত্রা প্রায় নিশ্চিত। যদি সত্যি সেরকম কোনও ঘটনা ঘটে, তবে টেনিস খেলার ভাষায় বলতেই হবে 'অ্যাডভান্টেজ রাহুল'।

a month ago
Coochbehar: অভিষেকের সফরের আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে ২ নেতা-সহ হাজার কর্মী

পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Vote) শিয়রে রেখে জনসংযোগ বাড়াতে সম্প্রতি জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নাম দেওয়া হয়েছে 'জনজোয়ার' ও 'গ্রাম বাংলার মতামত।' অভিষেকের এই কর্মসূচির প্রথম সভাস্থল কোচবিহারের সভার আগেই বড় ভাঙন তৃণমূলে। সূত্রের খবর, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ প্রায় এক হাজার কর্মী শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) নাম লিখিয়েছেন।

যার পরে সিএন-ডিজিটালকে কোচবিহারের বিজেপি জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, 'শুরুর আগেই ভাটা জোয়ারে!' যদিও এসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি সোমবার সিএন ডিজিটালকে বলেন, 'এসব করে বা প্রচার করে বিজেপি কিছুই করতে পারবে না। চক্রান্ত করে অভিষেকের সভা বানচাল করার ধান্দা বিজেপির, আর কিছুই না।'

পঞ্চায়েতের আগে ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ এই নতুন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে এই কর্মসূচির শুভ সূচনা। ঠিক তার আগে কোচবিহারের হাজারের অধিক কর্মী, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মৃত্যুঞ্জয় রায় ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জীব চন্দ্র রায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এই ঘটনায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে শাসকদল।

a month ago
Nitish: বিরোধী জোটে শান দিতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নীতিশ কুমারের?

মমতা নয় শুধু বিরোধী জোটকে এক করার চেষ্টা জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar Chief Minister) নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar)। সেজন্যই কি মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে? সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর সময় বৈঠকে বসবেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বলাই বাহুল্য এই বৈঠকের প্রসঙ্গ হতে পারে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র এক বছর।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় রাজ্যের প্রশাসনিক দফতর নবান্নে বৈঠকে বসবেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও, বিরোধী জোট নিয়েই দুই রাজনীতিকের আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, সোমবারই লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা নীতিশের।

সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন নীতিশ। রাজধানীতে দাঁড়িয়ে নীতিশ জানিয়েছিলেন, বিরোধী জোট গঠনের উদ্দেশ্যে তিনি সব নেতানেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। ওই সফরে নীতিশের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। বিরোধী জোট নিয়ে বাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও কথা বলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

তবে সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় আলাদা করে উল্লিখিত হয় মমতা এবং অখিলেশের কথা। কারণ বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে তাঁদের অবস্থান সুস্পষ্ট হলেও বিরোধী জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল এবং সপা। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর অবশ্য খড়্গের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠায় তৃণমূল। ইদানীং বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে এক হওয়ার বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও। তিনি বহুবার জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলি এক হলে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে না।

a month ago


CPM: 'যদি সিপিএম-কে চায় তবে তাঁরাই', পঞ্চায়েতের প্রার্থীতালিকা নিয়ে বড় ঘোষণা অভিষেকের

জোড়া কর্মসূচির মাধ্যমে, পঞ্চায়েতে (Panchayet) জনতার মত নিয়ে প্রার্থী (Candidate) বাছাইয়ের ঘোষণা তৃণমূলের (TMC)। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূলের এই জোড়া কর্মসূচিকে কটাক্ষ বাম-ডান দুপক্ষেরই। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই জোড়া দুটি কর্মসূচির কথা জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, 'এই কর্মসূচি দুটির নাম দেওয়া হয়েছে জনজোয়ার ও গ্রাম বাংলার মতামত।' অভিষেক এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, দুমাস ধরে এই কর্মসূচি চলবে, রাজ্যের প্রতিটি জেলায়। তিনি দায়িত্ব নিয়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত করবেন। প্রতিটি জেলায় দিনে চারটি-পাঁচটি করে সভা হবে। তারপর রাতে ওই জেলার সমস্ত জেলা পরিষদ সদস্য, সভাপতি, বুথ সভাপতিদের নিয়ে গ্রাম বাংলার মতামত অধিবেশন হবে। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন ওই এলাকার তিন হাজার মানুষ। ওখানেই গোপন ব্যালট ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে।'

তিনি আরও জানিয়েছেন, যদি কোনও এলাকার স্থানীয়রা বলেন, ওই অঞ্চলে সিপিএমের প্রার্থী কাজ করেছে এবং তাঁরা সিপিএমের প্রার্থীকেই চায়। তবে সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির সঙ্গে অবশ্যই কথা বলবেন তিনি। তৃণমূলের এই জোড়া কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছেন বাম-বিজেপি দু'পক্ষই।

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জোড়া কর্মসূচি বিষয়ে সিপিএম-র রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সিএন ডিজিটালকে বলেন, 'সিপিএম অভিষেকের কথার গুরুত্ব দিতে নারাজ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। তৃণমূল একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দুর্নীতিগ্রস্ত সেটা তিনি আদালতে গিয়ে প্রমাণ করেছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার জেরার মুখে যাতে পড়তে না হয়, সেজন্য আদালতে গিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন দুর্নীতিগ্রস্ত। এসব কর্মসূচি ভাওতা। গ্রাম বাংলার মানুষ এসব ভাওতাবাজিতে পা দেবেন না বলে আশা করি।'

পাশাপাশি তৃণমূলের এই জোড়া কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপিও। বৃহস্পতিবার সিএন ডিজিটালকে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'প্রকাশ্যে এসব কিছু করার আগে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট সামনে আনতে বলুন। আগে সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা যারা প্রকাশ্যে আন্দোলন করছে তাঁদের চাকরি দিতে বলুন। এত বছর ধরে যারা বঞ্চিত তাঁদের চাকরি দিতে বলুন। এক কথায়  তৃণমূল একটি লুটেরাদের দল। ওদের মোক্ষম টার্গেট লুট করা।'

a month ago
Dilip: মুকুল রায় 'বেওয়ারিশ নেতা', মমতার থ্রেট তত্ত্ব উড়িয়ে সিএন ডিজিটালকে জানালেন দিলীপ ঘোষ

মণি ভট্টাচার্যঃ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) করা মুকুল রায়কে (Mukul Roy) থ্রেট তত্ত্ব উড়িয়ে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক। মুকুল রায় প্রসঙ্গে তিনি একটি উল্লেখযোগ্য মন্তব্যও করেন, তিনি বলেন, 'ওকে হয়ত কেউ থ্রেট করেছে।' এরপরে এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সিএন ডিজিটালকে জানালেন, 'মুকুল রায় কোন বাচ্চা ছেলে নয়, উনি বঙ্গ রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। কাউকে থ্রেট করে নিয়ে যাওয়া হবে এতটা বাচ্চা মুকুল রায় নন।' তিনি আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হয়তো থ্রেট করে তাঁকে তৃণমূলে নিয়ে গিয়েছিলেন, এছাড়া বঙ্গ রাজনীতিতে ওনার গ্রহণযোগ্যতা কী আছে?'

এছাড়া মুকুল রায়ের অন্তর্ধান প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এদিন স্পষ্ট বলেন, 'মুকুল রায়ের রাজনৈতিক কোন দাম এই মুহূর্তে বাংলায় নেই, তিনি এখন বেওয়ারিশ নেতা।' যদিও দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'কখনও ওনার ছেলে বলছেন বাবা কিডন্যাপ হয়েছেন, কখনও উনি বলছেন আমি ঠিক আছি, আবার ওনার ছেলে বলছেন উনি নাকি অসুস্থ। পাল্টা মুকুল রায় বলছেন আমি সুস্থ, আমি বিজেপি করি। উনি একজন বিধায়ক উনি উনার ইচ্ছে মত দল করতে পারেন।'

রাজনৈতিক ঘটনাচক্রে ২০২১ সালে জুন মাসে, বিজেপিতে কেউ থাকতে পারবে না বলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে মুকুল ফের দাবি করছেন, তিনি বিজেপির বিধায়ক, দলবদল প্রসঙ্গে সিএন-ডিজিটালকে বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ আরও বলেন যে, 'মুকুল রায় দীর্ঘ এক-দেড় বছর রাজনীতির বাইরে ছিলেন, কোনও ভাবেই সক্রিয় রাজনীতির মধ্যে ছিলেন না তিনি। তখন কে তাঁর খোঁজ নিয়েছে, তখন তাঁর খোঁজ নেননি কেউই।' দলবদল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার সিএন-ডিজিটালকে আরও বলেন, 'মুকুল রায় যখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন। সেই সময় আমাদের বিজেপির মনবল নষ্ট করেছেন এবং বিজেপির অনেক অসম্মান করেছেন। এখন তাঁকে বিজেপিতে নেওয়া হবে কিনা! সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। সে বিষয়ে বিজেপির উচ্চ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।'

a month ago