তৃণমূল করার 'অপরাধে' খাদ্য পরিবেশনকারী এক যুবকের ওপর প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি থানা এলাকার অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়ায়।
সোমবার রাতে অভিজিৎ দাস নামে এক যুবক কেটারিং-এর কাজ সেরে ফিরে বাড়ির সামনে বসেছিলেন। সেই সময় তাঁর ওপর মাংস কাটার চপার দিয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় তিনি চিৎকার করলে পাড়ার লোক বেরিয়ে আসেন। তখন ওই দুষ্কৃতীরা বাইক ফেলে চম্পট দেয়। বাইকটি আটক করেছে বাগুইআটি থানার পুলিস।
আক্রান্ত যুবকের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে থেকে তাঁকে বিজেপি করার কথা বলছিল হামলাকারীরা। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। তাই সোমবার রাতে বিজেপি না করার অপরাধে তাঁর ওপর চপার নিয়ে হামলা চালানো হয়। কোনওক্রমে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। প্রথমে তাঁকে বাড়ির সামনে থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় অন্ধকারে। তখন তিনি তাঁর ঠাকুমাকে ডাকতে থাকেন। প্রথমবার চপার মারলেও উল্টো থাকায় আঘাত লাগেনি। পরেরবার তিনি হাত দিয়ে বাধা দিতে গেলে রক্তাক্ত হন। তারপর তাঁর ঠাকুমা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা পিঙ্কি দাস জানান, ওই আক্রান্ত যুবকের বাড়ির লোক তাঁকে নিয়ে থানায় ডায়েরি করতে যাবেন বলে ডাকতে আসেন। তখন তিনি দেখেন, তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তা রক্তে ভরে গেছে। তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তবে তিনি পুরো ঘটনা শুনে ওঁদের সঙ্গে থানায় ডায়েরি করতে যান। সেদিনই প্রথম নয়, এর আগেও ওই দলবল হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের মধ্যে শুভ নামে একজন কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল। এসেই আবার হামলা চালায়। এদের কেউ পাড়ার বাসিন্দা নয় বলে তাঁর অভিযোগ।
তবে উল্টোসুর শোনা গেল বিজেপি কর্মীর গলায়। তিনি বলেন, যাঁদের নামে আক্রান্ত যুবক ও তাঁর পরিবার অভিযোগ করছেন, তাঁরা কেউ বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত নন। এটা ওঁদের নিজেদের দলের মধ্যেই কাটমানি নিয়ে ঝামেলা। অযথা বিজেপির নাম তুলে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা তৃণমূলেরই লোক।
এই ঘটনায় বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।