বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় হঠাৎ নামল বৃষ্টি। অন্যদিকে এদিন কলকাতায় পারদ নামল প্রায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে আচমকা বৃষ্টিতে কাজেকর্মে বেরিয়ে মানুষকে বেশ ভালোই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পাশাপাশি তাপমাত্রা কম থাকার ফলে দিনভর আবহাওয়া ছিল স্যাঁতস্যাঁতে। তাপমাত্রা তেমন উল্লেখযোগ্যভাবে কম না থাকলেও মেঘলা আবহাওয়ার দরুণই কিছুটা হলেও শীত শীত ভাব ছিল।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ধীরে ধীরে নামতে শুরু করবে পারদ। তার ফলে নতুন বছরের শুরু থেকে ফের জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে যে উত্তুরে হাওয়া বাধা পাচ্ছিল, সেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে কাটতে চলেছে।
এদিন সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীদিনে এই তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এদিন ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ, ন্যূনতম ৫৪ শতাংশ।
তবে আজ সকালে দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ২ ডিগ্রিতে। এরপরই কালিম্পং, সেখানে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতেই তাপামাত্রা ওঠানামা করছে। বাঁকুড়ায় ১৬.৪, বহরমপুরে ১০.৪, বর্ধমানে ১৬, ক্যানিং ১৭.৪, দিঘা ১৬,পানাগড় ১৫.১, শ্রীনিকেতন ১৪.৪, পুরুলিয়া ১৫.১, কৃষ্ণনগর ১৩.৬, কলাইকুন্ডা ১৬.৭ ও কোচবিহার ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উল্লেখ্য, এবার অল্প কয়েকদিনের জন্যই হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কেঁপেছিল বাংলা। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি জেলা। যেখানে ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গিয়েছিল তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বেশ কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতিও হয়েছিল। জায়গাগুলি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম এবং নদীয়া। ওই সময় বিভিন্ন জায়গার তাপমাত্রা ছিল এইরকম। বাঁকুড়া ৯.৭, বহরমপুর ১০.৪, বর্ধমান ১০, ক্যানিং ৯.৮, দিঘা ৯.৪, পানাগড় ১০.৯, শ্রীনিকেতন ১০, পুরুলিয়া ৭.৫, কৃষ্ণনগর ১০.৪, কলাইকুন্ডা ১০ ও কোচবিহার ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে দার্জিলিংয়ে বুধবারই তুষারপাত হওয়ার ফলে সেখানে যাওয়া পর্যটকরা যথেষ্ট খুশি। তাঁরা চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করেছেন।