দীর্ঘ চারমাস ধরে জলসংকটে ভুগছে জলপাইগুড়ি পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের একাংশ। পুরসভার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সাতদিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে পুর-কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, জলপাইগুড়ি পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সুভাষ উন্নয়নপল্লি সহ একটা বড় অংশে এই জলসংকট তৈরি হয়েছে। কমপক্ষে প্রায় পাঁচশো পরিবার সমস্যায়। এই বাড়িগুলিতে পুরসভার তরফে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে, তবে জল নেই। এককালীন মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করেই জলের সংযোগ নিতে হয়েছে সকলকে। কিন্তু সেই সংযোগগুলি বহু পুরনো। অভিযোগ, গত তিনমাস ধরে জল রিজার্ভারে পর্যাপ্ত পরিমাণে উঠছে না। বেশিরভাগ বাড়িতেই নল খুললেই সুতোর মতো সরু জলের ধারা বেরিয়ে আসছে। এক বালতি জল ভরতে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যাচ্ছে। অনেক বাড়িতে আবার তাও উধাও বলে অভিযোগ। জলের জন্য কুয়োর ঘোলা জলের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে। অথবা খানিক দূর থেকে বালতি ভরে জল বয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে।
এই নিয়ে বাসিন্দারা একাধিকবার পুরসভায় অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। কখনও ব্যক্তিগত ভাবে, আবার কখনও দলবদ্ধভাবে গিয়েছেন। পুরসভা থেকে কর্মী এসে দেখে গিয়েছেন অবস্থা। ব্যস সেইটুকুই। কাজের কাজ কিছু হয়নি। আর এতেই ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা।
ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা বিজেপি নেত্রী অঙ্কিতা ছেত্রী। তিনিও একজন ভুক্তভোগী। তিনি জানান, বাসিন্দাদের নিয়ে একাধিকবার পুরসভায় অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। তবে সমস্যা মেটেনি। তবে এইরকমভাবে চললে বাসিন্দাদের নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী।
তবে গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার থেকে দুটি ট্যাংকে করে জল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে এলাকায়। বাসিন্দাদের অনেকটা দূর থেকে এসে সেই ট্যাংক থেকে জল বয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া অত বড় এলাকার জন্য এতটুকু জল পর্যাপ্তও নয় বলে স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ।
অন্যদিকে সাতদিনের মধ্যে জলসমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীরা আগে তাঁর কাছে অভিযোগ জানাননি। তবে এবার যখন সমস্যা জানতে পেরেছেন, তখন সাতদিনের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে। ততদিন পর্যন্ত ট্যাংক দিয়ে ওই এলাকায় জল পাঠানো হবে।
তবে কবে মিটবে এই জলযন্ত্রণা, সেটাই এখন দেখার।