Share this link via
Or copy link
সাতদিন নিখোঁজ দুই যুবতী। পুলিসের (police) তৎপরতায় অবশেষে বাড়ি ফিরলেন তাঁরা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) হাসনাবাদ থানার টাকি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। বছর ১৮-এর দীপিকা দাস ও প্রতীক্ষা মণ্ডল এই দু'জন ছোটবেলা থেকে বন্ধু। গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা নাগাদ হাসনাবাদ (Hasanabad) ব্যাঙ্কের বই আপডেট করার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপরই দুই বান্ধবী নিখোঁজ হয়ে যান, তারপরে আর বাড়ি ফেরেননি। বাড়ির লোক খোঁজখবর নেওয়ার পর না মেলায় সোমবার সন্ধ্যায় থানায় পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অবশেষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার কুলপি এলাকা থেকে ওই দুই নিখোঁজ ছাত্রীর সঙ্গে রমেশ দে নামে এক যুবকের খোঁজ মেলে। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিশ্চিন্তপুরে। ওই দুই ছাত্রীর সঙ্গে যুবককে পাওয়া গেল তাঁদেরকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
জানা যায়, দুই যুবতীকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। তারপর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী দেবেন। পুলিসের অনুমান বছর ১৮ দীপিকার সঙ্গে রমেশের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। রমেশ ওদেরকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। ধৃত যুবক দীপিকাকে বিয়ে করেছে ইতিমধ্যেই। প্রশ্ন উঠছে আর এক ছাত্রী প্রতীক্ষা গেল কী করে? এরা ছোটবেলা থেকে দুই বান্ধবী। দীপিকাদের বাড়িতে প্রতীক্ষা ভাড়া থাকতো। সেখান থেকেই তাঁদের সম্পর্ক। পাশাপাশি এর সঙ্গে কোনও নারী পাচার চক্রের যোগ আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।