বিচারককে আদালত থেকে আনতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। গাড়ির চালক এদিন সিকিউরিটি গার্ডকে সঙ্গে নিয়ে বিচারককে আনতে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় টোটোকে ওভারটেক করতে গিয়ে ধাক্কা লেগে যায়। আর তাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল আরামবাগে।
তাঁকে বেআইনিভাবে ওভারটেক করা হয়েছে, এই অভিযোগে টোটো চালক প্রতিবাদ করেন। তখনই ওই সিকিউরিটি গার্ড ও গাড়ির চালক প্রতিবাদী টোটো চালক শেখ সেলিমকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এতে টোটো চালক মারাত্মক আহত হন। তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি টোটো চালক ও স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করায় উভয়ের মধ্যে তুমুল তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান তাঁরা। অবিলম্বে ওই সিকিউরিটি গার্ড ও গাড়ির চালককে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
বিক্ষুব্ধ টোটো চালকদের বক্তব্য, অহেতুক বিচারকের গাড়ির চালক ও সিকিউরিটি গার্ড নিরীহ টোটো চালককে অমানবিকভাবে মারধর করে। তাঁকে হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। টোটো চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তাঁরা জানান। তাঁরা দেখতে চান, সাধারণের জন্য আইন একই কিনা। নাকি ক্ষমতার জোরে তারা বেঁচে যায়।
প্রথমে আরামবাগ রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা। তারপর সেখান থেকে আরামবাগ হাসপাতাল মোড়ে এসে আরামবাগ-কলকাতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের সময়ে তাঁরা হুমকি দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি অভিযুক্ত ওই সিকিউরিটি গার্ড ও চালকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা আরামবাগে সমস্ত টোটো চলাচল বন্ধ করে দেবেন।
আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, এই ঘটনার কথা তাঁদের কানে এসেছে। এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অবরোধের জেরে এই ব্যস্ততম রুট পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর পরেই অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে আসেন আরামবাগ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিস তাঁদের অবরোধ তুলে দেয়।