রাজ্যপাল বিভাজনের চেষ্টা করছেন। বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করিয়ে এই মন্তব্য ডেপুটি স্পিকারের। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে বুধবার তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় শপথ নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান শেষেই রামপুরহাটের এই বিধায়ক বলেন, 'যে কোনও কারণেই হোক, আমাকে নতুন বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাতে হয়েছে। রাজ্যপাল আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করেছেন। আমি মনে করি আমরা সবাই এক। এক হয়েই কাজ করব। স্পিকার আমাকে অনুরোধ করেছিলেন শপথ গ্রহণ করানোর জন্য। তিনি আমাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন বিষয়টি। তাই আমি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেছি।'
তিনি জানান, বিধায়কের শপথ না হওয়ার কারণে অনেক কাজ আটকে ছিল। অবশেষে বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠিত হল। তাই সবাইকে ধন্যবাদ।' ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর জয়ের পর থেকেই ঝুলে ছিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। বিধায়কদের শপথগ্রহণের অধিকার রাজ্যপাল, স্পিকারের থেকে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন।
যদিও পরে রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকারকে সেই ক্ষমতা অর্পণ করেন। কিন্তু স্পিকারের উপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুতেই শপথবাক্য পাঠ করাতে রাজি হচ্ছিলেন না।
রীতিমতো চিঠি দিয়ে ডেপুটি স্পিকার জানান, তিনি অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বিষয়টি জানানো হয় স্পিকারকেও। শেষ পর্যন্ত শাসক দলের তরফে শপথগ্রহণ করাতে বলা হলে, রাজি হয়ে যান আশিস।