বর্ধমানে মদ খেয়ে মৃত্যুর পরেও অসচেতনতার চিত্র। আসানসোলের বিভিন্ন ধাবায় শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলেছে মদ্যপান। লাইসেন্স ছাড়াই আসানসোলের জাতীয় সড়ক বা জিটি রোডের ধারে বিভিন্ন ছোট হোটেলে প্লাস্টিকের গ্লাসে প্রকাশ্যে চলছে মদ্যপান। একইভাবে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ধাবায় সন্ধ্যা নামলেই অবৈধ মদের ব্যবসা। যা ধরা পড়েছে সিএন-র ক্যামেরায়।
এমনকি, নদীয়ার বিভিন্ন ধাবায় রাত্রিবেলায় চলেছে অবৈধ মদের ব্যবসা। বিশেষ স্টিং অপারেশনে সেই ছবি ধরা পড়েছে। দেখা গিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স চালক পর্যন্ত জাতীয় সড়কের পাশে ধাবাগুলোয় মদ্যপান করছেন।
এদিকে, বাঁকুড়ায় আবগারি বিভাগ অবৈধমদের ভাটিতে শনিবার ভাঙচুর চালায়। এদিন কয়েকশো লিটার মদ নষ্ট করা হয়েছে। আগামি দিনেও এই অভিযান চলবে বলে তারা জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এক্সাইজ ডিপার্টমেন্ট বাঁকুড়ায় এক নম্বর ব্লকের আগোয়া গ্রামে অবৈধ চোলাই ভাটিতে হানা দেয়। মদ তৈরি করার বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি উনুন থেকে থেকে শুরু করে চোলাই মদ নষ্ট করে দিয়েছে। লাগাতার এই অভিযান চালিয়ে যাবে এক্সাইজ ডিপার্টমেন্ট বলে সূত্রের খবর।
অপরদিকে, অবৈধ মদ বিক্রির প্রতিবাদে শনিবার শীতলকুচি ব্লকের ছোটো শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নগর শোভাগঞ্জ গ্রামে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযোগ, ওই গ্রামের দুই বাড়িতে অবৈধ মদ বিক্রি চলছিল। ফলে সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ছে। মদ খেয়ে পরিবারে অশান্তিও হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিন স্থানীয়রা অবৈধভাবে মদ বিক্রির প্রতিবাদে রাস্তায় বাঁশ বেঁধে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। খবর পেয়ে শীতলকুচি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে দিয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় ও কিছু মদের বোতল উদ্ধার করেছে।
এবিষয়ে স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, ওই গ্রামের দুই বাড়িতে অবৈধ মদ বিক্রি হচ্ছে। ফলে সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ছে। মদ খেয়ে বাড়িতে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। মদ খেয়ে মদ্যপরা পথচলতি মহিলা ও মেয়েদেরকেও কটূক্তি করে বলে অভিযোগ। প্রশাসন ব্যাবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
একইভাবে বিষমদ-কাণ্ডের পর সদা তৎপর প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের রামা পাইখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নষ্ট করল বিপুল পরিমাণ চোলাই ও সরঞ্জাম।