অশোকনগর থানার শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েত এলাকার নূরপুর বাজার (Bazar)। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ১২ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাতদল এসে লুটপাট চালাল দুটি সোনার দোকানে (Gold Shop)। দোকানের শাটার ভেঙে সমস্ত গহনা ও নগদ টাকা-পয়সা নিয়ে চম্পট দিল তারা। যাওয়ার সময় ভেঙে দিয়ে গেল দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV)। এমনকী হার্ড ডিস্কও নিয়ে চলে যায় তারা।
তবে ডাকাতদল এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, বাজারের দায়িত্বে থাকা দুই সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) ও তিনজন নৈশপ্রহরীকে (Night Guard)পর্যন্ত তারা বেঁধে এই লুটপাট চালায়। প্রত্যেকেই ছিল হাফপ্যান্ট পরা এবং হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, এমনটাই জানিয়েছেন নৈশপ্রহরীরা।
নূরপুর বাজারের আরেকটি সোনার দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় দুষ্কৃতীদের কিছু ছবি ধরা পড়েছে। পরবর্তীতে সেই দোকানের ক্যামেরাটিও ঘুরিয়ে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
বাজারের দুই সিভিক ভলান্টিয়ার জানিয়েছেন, তাঁদের পকেটে থাকা নগদ টাকাও নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়াররা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় রোডে অশোকনগর থানার পুলিসের (Police) গাড়ি প্রত্যেকদিনের মতো এসে হর্ন দিচ্ছিল। কিন্তু তাঁদের বেঁধে রেখে দেওয়ায় তাঁরা বেরতে পারেননি। তাছাড়া ডাকাতদলের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। তাই তাঁরা টুঁ শব্দ করতে পারেননি। পুলিস যদি ভিতরে আসত, তাহলে দুষ্কৃতীরা হাতেনাতে ধরা পড়ে যেত।
দেখুন, কী বললেন নৈশপ্রহরী এবং সিভিক ভলান্টিয়ার
স্বভাবতই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা।