Share this link via
Or copy link
একে করোনা ওমিক্রনের চোখ রাঙানি। তার উপর বহু মানুষ কর্মহীন। সরকারের দেওয়া রেশনই ভরসা সাধারণ মানুষের। সেই রেশন নিয়েই প্রায় প্রতিদিন বিস্তর অভিযোগ আসছে প্রকাশ্যে। কোথাও রেশনে কম সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ, কোথাও রেশন সামগ্রী পাচারের অভিযোগ, কোথাও আবার বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে রেশন না পাওয়ার অভিযোগ। এবার
রেশন কার্ডে মৃতা বলে উল্লেখ থাকায় রেশন না পাওয়ায় সমস্যায় বৃদ্ধা। বৃদ্ধা উপভোক্তা মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার রেলবাজার এলাকার বাসিন্দা।
গীতা মণ্ডলের অভিযোগ, গত মাসেও তিনি তাঁর রেশনের সামগ্রী পেয়েছেন। কিন্তু এই মাসে যখন রেশন তুলতে যান, রেশন ডিলার জানান, তিনি মৃত। তাই কার্ডটি ব্লক হয়ে গেছে।
বৃদ্ধার পরিবারে ৬ সদস্য। এই সংসারে বাকি সবার নর্মাল কার্ড হলেও বৃদ্ধার নামে একটি মাত্র সুবিধাজনক কার্ড এসেছে। সেক্ষেত্রে তিনি কম দামে সবকিছুই পান। এই চাল দিয়ে তাঁর সংসারের বেশিরভাগ সমস্যা মিটে যেত। কিন্তু রেশন সামগ্রী না মেলায় সমস্যার মধ্যে পড়েছে সেই পরিবার। রেশন ডিলার বা ফরাক্কার ব্লক প্রশাসনের কাছে দ্রুত সমাধানের দাবি বৃদ্ধার।
তবে রেশন ডিলার রাজীব সাহা এই বৃদ্ধা যে তাঁর গ্রাহক, তা স্বীকার করেন। গত মাস পর্যন্ত তিনি রেশন সামগ্রী পেযেছেন বলে জানান ওই ডিলার। এই মাসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে রেশন নিতে আসার সময় তাঁর কার্ডটি ব্লক দেখায়। তবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট কোনওরকমে ব্লক হয়ে থাকার কারণে বৃদ্ধাকে রেশন দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান রেশন ডিলার। বৃদ্ধা মারা গেছেন, সেটা ভিত্তিহীন বলে দাবি রেশন ডিলার রাজীব সাহার। কার্ড ব্লকের সমস্যা ঠিক করতে বিডিও অফিসে গিয়ে ফুড সাপ্লাই ইন্সপেক্টরের কাছে জানাতে হবে। তারপরে বৃদ্ধা রেশন সামগ্রী পাবেন বলে জানান রেশন ডিলার।
সরকারি সুবিধা নেওয়ার জন্য একের পর এক নিয়ম মানতে বাধ্য সাধারণ মানুষ। তারপরেও রেশন না মেলার অভিযোগ। কোথায় যাবেন সাধারণ মানুষ, কার কাছে গেলে হবে সমস্যার সমাধান? তা বুঝতেই দিশাহারা উপভোক্তারা।