Share this link via
Or copy link
শাড়িতেই নারী। বাহারি শাড়িতে নিজেকে সাজাতে অনেকেরই প্রথম পছন্দ হতেই পারে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বালুচরী শাড়ি। তাই আপনার আলমারিতে বালুচরী শাড়ি থাকবে না, তা কি হয় ? শুধু তাই নয়, বাঁকুড়া জেলার হস্ত ও কুটির শিল্পের খ্য়াতিও জগৎজোড়া। এবার জেলার হস্ত ও কুটির শিল্প স্থান পেল ভারতীয় ডাক বিভাগের স্পেশাল কভারে। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাঁকুড়ার এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হলে ডাক বিভাগের তরফ থেকে প্রকাশ করা হল বাঁকুড়া জেলার হস্ত ও কুটির শিল্পের উপর স্পেশাল কভার।
শাড়ির ইতিহাস প্রায় অষ্টাদশ শতকের। সে সময় ভারতের নানা অঞ্চল, এমনকি বাইরে থেকেও বণিকরা আসতেন বাণিজ্যের জন্য। ভাগীরথীর পূর্ব পাড়ে বালুর চরে গড়ে ওঠে বয়ন শিল্প। বালুর চরে এই শিল্প গড়ে ওঠে বলে এর নাম বালুচরী। অন্য মতে, নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর আমলে তিনি তাঁর রাজধানী ঢাকা থেকে মকসুদাবাদে নিয়ে যান। সেখানে বালুর চরের শিল্পীদের নির্দেশ দেন বেগমদের জন্য নতুন শাড়ি তৈরি করার। সেই থেকেই এই শাড়ি বালুচরী শাড়ি নামে পরিচিত হয়।
বাঁকুড়ায় প্রাচীন হস্তশিল্পের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্য়ে ভারতীয় ডাক বিভাগ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বালুচরী শাড়ি, টেরাকোটা, পট এবং মাদুর শিল্পকে স্পেশাল কভারে স্থান দিল। ভারতীয় ডাক বিভাগ এর আগে বিষ্ণুপুরের প্রাচীন অন্যতম নিদর্শন দলমাদল কামানকে স্থান দিয়েছে স্পেশাল কভারে। পরবর্তীকালে বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের মন্দিরের শহরের টেরাকোটার তিন প্রাচীন মন্দিরকে স্থান দেওয়া হয় ভারতীয় ডাক বিভাগের ডাক টিকিটে।
বাঁকুড়া জেলার প্রাচীন ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রাখতে ডাক বিভাগের এই উদ্যোগে খুশি জেলার হস্ত ও কুটির শিল্পীরা। জেলার হস্ত ও কুটির শিল্পের প্রচার প্রসার ও বাণিজ্যিক শ্রীবৃদ্ধি হবে দাবি ভারতীয় ডাক বিভাগের।
এর ফলে বালুচরী শিল্পের সঙ্গে যুক্তরাও খুশি।