একে করোনা আবহে রোজগার কমে গেছে অনেকেরই। তারপর আবার ধাপে ধাপে সুদের হারও কমিয়ে দিয়েছে অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। মানুষ একরকম দিশাহারা। কোথায় সঞ্চিত অর্থ জমা রেখে একটু বেশি সুদ মিলবে, তার জন্য দৌড়ে বেড়াচ্ছেন এ ব্যাঙ্ক থেকে সে ব্যাঙ্ক।
আলোচনায় সেভাবে উঠে না এলেও বা নতুন প্রজন্ম সেভাবে আকৃষ্ট না হলেও ডাকঘর বা পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে কিন্তু এখনও বেশি সুদ মিলছে। ফলে এদিকে ঝুঁকতেই পারেন। দেখতে পারেন একবার পরীক্ষা করে।
এমনিতে পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্টে এখনও পর্যন্ত সুদের হার ৪ শতাংশ, যা ব্যাংকের থেকে বেশিই। সবচেয়ে বড় কথা, এখানে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
এছাড়া বেশ কয়েকটি সঞ্চয় স্কিম রয়েছে, যেগুলি সুদের হারে খুবই আকর্ষণীয়। যেমন প্রথমেই বলা যাক, পিপিএফের কথা। ১৫ বছরের এই পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে সুদের হার ৭.১ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত এতে জমা করা যায় একটি আর্থিক বছরে। বিশেষত চাকরিজীবীদের জন্য এটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি স্কিম, যা করছাড়ের সুবিধা পাওয়ার জন্যও আদর্শ।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা হল দশ বছরের নিচে কন্যাসন্তানের জন্য দারুণ স্কিম। এতে সুদের হার ৭.৬ শতাংশ। একটি পরিবারে সর্বোচ্চ দুটি কন্যার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। ন্যূনতম বিনিযোগের পরিমাণ ২৫০ টাকা।
এরপর আসা যাক এমআইএস বা মান্থলি ইনকাম স্কিমের কথায়। অবসরপ্রাপ্তদের কাছে এটি বরাবরই খুব আকর্ষণীয়। দফায় দফায় কোপ পড়ার পরেও সুদের হার ৬.৬ শতাংশ। একক নামে সাড়ে ৪ লাখ এবং যৌথ নামে ৯ লাখ পর্যন্ত এতে বিনিয়োগ করা যায়। সুদ মেলে মাসে মাসে।
অবসরপ্রাপ্তদের জন্য আরও একটি স্কিম হল সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। যে কেউ বয়স ৬০ বছর পেরলেই এই স্কিমে টাকা রাখতে পারেন। সুদের হার ৭.৪ শতাংশ। সুদ মেলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর। এতে জমা রাখা যায় সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া কিষাণ বিকাশ পত্র, এনএসসি, রেকারিং ডিপোজিট, টাইম ডিপোজিট প্রভৃতি আরও অনেক লোভনীয় স্কিম আছে পোস্ট অফিসে, যা এখনও অন্যদের থেকে বেশি সুদ দিয়ে যাচ্ছে।