বিশ্বজুড়ে নতুন করে থাবা বসিয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। যার জেরে ফের আতঙ্কিত দেশবাসী। ইতিমধ্যেই ইউরোপ সহ পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে ওমিক্রন নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশেও ওমিক্রন থাবা বসাচ্ছে ধীরে ধীরে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনের সংক্রমনের খবর পাওয়া গেছে। তাই এবার বিশেষ ধরনের আরটি-পিসিআর টেস্ট শুরু করতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এজন্য কিটও আনা হচ্ছে। মূলত করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির জিনম সিকোয়েন্সিং না করা হলে, ধরা পড়ে না তিনি ওমিক্রন পজিটিভ কিনা। তাতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তাই, এবার দ্রুত ওমিক্রন আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে এই বিশেষ পরীক্ষা চালু করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর।
যদিও অন্যদিকে ওমিক্রনের প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্ত সুন্দরবন। তবে সেখানেও স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার রিপোর্ট অনুযায়ী, সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জ সহ একাধিক ব্লকে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের থাবা পড়েনি। তবে তা প্রতিহত করতে আগে থেকেই সুন্দরবন এলাকায় তৎপরতা চোখে পড়ল। বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকড়া এলাকায় তেমনই ছবি ধরা পড়ল।
উদ্বোধন হল একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। যা ওমিক্রন সহ একাধিক টেস্ট করার এক অভিনব প্রয়াস বলেই জানান উদ্যোক্তা ইকবাল আহমেদ। অভিযোগ, সুন্দরবনের মানুষ অসুস্থ হলে, তাঁদের বহু পথ অতিক্রম করে নদী-নর্দমা পেরিয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আসতে হয়। শুধু তাই নয়, মহামারীতেও টেস্ট এবং অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা পেতে হিমশিম খেতে হয়েছিল এলাকার মানুষকে। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই সুন্দরবন এলাকায় এবার এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যেখানে ওমিক্রন টেস্ট সহ একাধিক রক্ত পরীক্ষা, ইউএসজি সহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। যার জেরে সুন্দরবনের মানুষকে আর দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বসিরহাটে আসতে হবে না।
শুক্রবার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল ও হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ্ গাজি, বিডিও শাশ্বতপ্রকাশ লাহিড়ী সহ একাধিক আধিকারিক।
তাঁরা জানান, সুন্দরবনের মানুষ খুবই স্বল্প ব্যয়ে এই পরিষেবা পাবেন। আগামিদিনে একাধিক ডাক্তারবাবু এনে সেখানকার মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার বন্দোবস্তও করা হয়েছে।
এই অভিনব উদ্য্যোগে খুশি সুন্দরবনবাসী।