উঃ ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার মোল্লাহাটি গ্রাম। ইংরেজ আমল থেকে নীলকুঠি রয়েছে এই গ্রামে। অভিযোগ, এখানে নষ্ট হচ্ছে ঐতিহাসিক স্মৃতি। সেই নীলকুঠি পুনরুদ্ধার করে পর্যটন কেন্দ্রের দাবিতে সরব হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই গ্রামে একটি বড় নীলকুঠি ছিল। ছিল নীল চাষের মাঠ। শত শত কৃষকের রাঙা রক্ত নিংড়ে নীলকর ইংরেজরা বার করত নীল। কুঠিয়াল সাহেবদের দিন ফুরাল। পড়ে থাকল মাঠ। এখন সেখানে জনবসতি। এখন এই জমিতে বসবাস করেন তারক সর্দার ও দীপা সর্দার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নীলকুঠির প্রায় সাড়ে ৭ বিঘা জমির উপর থাকা বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্মৃতি সর্দার পরিবার নষ্ট করে ফেলেছে। নীল পচানোর চাতাল, চৌবাচ্চা পাঁচিল আজ তার প্রায় কোনও অস্তিত্বই নেই৷
বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা নাগাদ বাসিন্দারা ওই নীলকুঠি এলাকায় যান৷ দেখান বিক্ষোভ। স্থানীয় কয়েকজন নীলকুঠি এলাকায় গাছপালা কেটে পরিষ্কার করেন৷
গ্রামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এই জমিতে দীর্ঘ বছর ধরে এক বৃদ্ধা সাধু বাস করত। তারপর থেকে এখানে সেই জমি জবরদখল করে সর্দার পরিবার বাস করছে। সম্প্রতি ওই জমিতে পুকুর খুঁড়তে গেলে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়েন৷ তাঁরা পুকুর খননে বাধা দেন।বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই জমি তাঁদের নামে কী করে হল? কোথা থেকে পেলেন তাঁরা এই জমি?
বর্তমানে বসবাসকারী নমিতা সর্দার অবশ্য জবরদখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ যদি চায় নিজের যতটুকু জমি আছে, ততটুকুতেই থাকবেন।
এখন নীলকুঠি পুনরুদ্ধার করে পর্যটন কেন্দ্র কবে হয়, সেদিকেই তাকিয়ে এলাকাবাসী।