করোনা আতঙ্কে লকডাউন হওয়ার আগেই তালা পড়েছিল রাজ্যের স্কুলগুলিতে। মিড-ডে মিল চালু হওয়ার পর থেকে স্কুলে ছাত্রসংখ্যা অনেকটাই বেড়েছিল। মিড-ডে মিল পাওয়ার লোভে অনেকে স্কুলে আসত। দুবেলা যারা ঠিক করে খেতে পায় না, তাদের কাছে এই মিড-ডে মিল স্বর্গসুখের সমান। সেই কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুল শিক্ষা দফতর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল মিড-ডে মিল।
করোনাকলে রাজ্যজুড়ে মহিলা ও শিশুদের অপুষ্টি রোধ করতে সক্রিয় ছিল রাজ্য সরকার। যার জন্য বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অঙ্গনওয়াডি কেন্দ্র তথা স্কুলের মিড-ডে মিল প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিকর চাল বা ফর্টিফাইড রাইস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মর্মে স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে খাদ্য দফতরকে জানানো হয়েছে বলে জানালেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মিড-ডে মিলে যে পুষ্টিকর খাদ্যের নির্দেশ দিয়েছেন, সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। আগামী সপ্তাহে এই বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসছেন তিনি। যেহুতু খাদ্য দফতর শুধুমাত্র সরবরাহ করে, তাই সদ্য তাঁরা এই অর্ডার পেয়েছেন। যত শীঘ্র সম্ভব এই ফর্টিফাইড বা পুষ্টিগুণসম্পন্ন চালের ব্যবস্থা করবে খাদ্য দফতর। এই পুষ্টিগুণসম্পন্ন চালের ব্যবস্থা নিজেরাই করবেন বলে জানালেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
নবান্ন সূত্রের খবর, এর জন্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে নারী ও শিশুপুষ্টি প্রকল্পে রাজ্যের উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় ৭৩ লক্ষ। তাই মিড ডে মিল, নারী ও শিশুপুষ্টি প্রকল্পের জন্য খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে আগামী মাস থেকেই ফর্টিফাইড রাইস বা পুষ্টিগুণসম্পন্ন এই ধরনের চাল সরবরাহ শুরু হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। খাদ্য দফতর আগামী দিনে রাজ্যের রাইস মিলগুলির থেকে এই ফর্টিফাইড রাইস সংগ্রহ করবে বলে খবর। তাই এবার থেকে মিড ডে মিলে সাধারণ চালের বদলে বিশেষ পুষ্টিগুণসম্পন্ন সরবরাহ করা হবে। শিশুরা যাতে অপুষ্টির শিকার না হয়, সেই নির্দেশই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।