উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায় গণবিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচ শতাধিক আদিবাসী তরুণ-তরুণীর চার হাত এক করা হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। জেলা পুলিসের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নব দম্পতির হাতে উপহার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মূল মঞ্চে উঠে ধামসা-মাদলের তালে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এই গণবিবাহ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা প্রদান, সেতু উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারও আলিপুরদুয়ার হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে কর্মিসভায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ এবং ২০২১-র ভোটে আলিপুরদুয়ার থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। সে কথাও গোপন করেননি দলের সুপ্রিমো। এদিনও পদ্ম শিবিরকে একহাত নিয়েছেন মমতা।
এদিন ঠিক কী বলেছেন তিনি:
১) আমাদের বিশ্বাস আদিবাসী ঘরের মেয়েরা অলিম্পিক্সে সোনা জিতবে
২) ঝাড়গ্রামে আর্চারি অ্যাকাডেমি করেছি। কলকাতায় আদিবাসী ভবন তৈরি হয়েছে। কালিম্পংয়ে আদিবাসী ভবন বানিয়েছি
৩) বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনে ছুটি দিয়েছি। মাঝি থান, জহর থান বানাচ্ছি
৪) আগে চা বাগানের কর্মীদের মজুরি ছিল ৬৭ টাকা। আমরা ২০২ টাকা করে দিয়েছি। আরও বাড়বে
৫) চা সুন্দরী তৈরি করছি। হোম ট্যুরিজম তৈরি হবে। বাইরে থেকে পর্যটক এলে আপনাদের রোজগার হবে। সরকার ১ লক্ষ টাকা দেবে
৬) এখন আদিবাসী, তফশিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য কাস্ট সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করেছি। দুয়ারে সরকারে বাকি কাজ হবে।
৭) ঝাড়গ্রামে একলব্য স্কুলে দেখাশোনার জন্য দিয়েছিলাম রামকৃষ্ণ মিশনকে। অনেকে এর প্রতিবাদ করেছিল। এখন সেখানকার সব পড়ুয়ারা ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েছে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে।
৮) কেন্দ্রীয় সরকার গম বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্যাসের দাম এখন কোথায়? ভোটের আগে উজ্জ্বলা দিয়েছিল, এখন কোথায়?
৯) ভোট আসবে তখন বলবে আলাদা রাজ্য দেব, চা বাগান খুলে দেব। আর ভোটের পর দেখুন জিনিসপত্রের দাম কোথায় পৌঁছেছে!