Share this link via
Or copy link
আমি জড়িত নই, সব জানতে পারবেন। সিজিও কমপ্লেক্স (CGO Complex) থেকে আদালতে যাওয়ার পথে এই মন্তব্য করলেন রাজু সাহানি। শুক্রবারই হালিশহরের (Halisahar) পুরপ্রধান রাজুকে চিটফান্ড-কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র। তাঁর ব্যাঙ্ককে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। হাওয়ালা যোগ থাকতে পারে এই তৃণমূল নেতার। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ সিবিআইয়ের। সেই রাজু সাহানি শনিবার বলেছেন, 'তিনি এই ঘটনায় জড়িত নয়।'
সিবিআই সূত্রে দাবি, শুক্রবার তল্লাশিতে রাজু সাহানির রিসর্ট ও লাগোয়া বাড়ি থেকে ৮০ লক্ষ টাকা, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির নথি, একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও কয়েকটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন চিটফান্ড থেকে প্রচুর টাকা প্রোটেকশন মানি নিয়েছেন রাজু সাহানি। মাঝেমধ্যেই তাঁর কাছে মোটা টাকা পৌঁছে যেত। টাকা কোথা থেকে এল, কেন এত টাকা বাড়িতে রাখা ছিল, তার সদুত্তর দিতে পারেননি হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান। সেই কারণেই গ্রেফতার।
হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানির পৈতৃক বাড়ি হালিশহর লালকুঠি মিত্রপাড়ায় যে বাড়ি, সেটা এখন তালাবন্ধ। তিনি এবং পরিবার বেশিরভাগ সময়ে হালিশহর খাস বাটিতে তার যে রিসোর্ট সেখানেই থাকতেন। তাছাড়াও নিউ টাউন চিনার পার্কে থাকতেন, ছোটবেলার বেড়ে ওঠা লালকুঠির মিত্রপাড়ায়, ছোটবেলায় তিনি একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেন। এলাকার মানুষ এখনও ভাবতেই পারছে না, যে রাজুকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। অনেকের ধারণা তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, বাবা লক্ষণ সাহানি, একসময় সিপিএমের নেতা ছিলেন।
হালিশহর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও ছিলেন তিনি, ২০১১ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূলের যোগদান। তখন রাজু কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরু থাকতেন। বাবার কথায় চলে আসা হালিশহরে, তারপর থেকেই একটু একটু করে রাজনীতিতে প্রবেশ। ২০১৭ সালে নির্দলের হয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে যেতেন রাজু , তারপর ২০১৮ সালে তৃণমূলের যোগদান। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের পর যখন বিজেপির হাওয়া ওঠে তখন কিছুদিনের জন্য বিজেপিতে গেলেও আবার ফিরে আসে তৃণমূলে। ২০১৯-এ হালিশহর পুরসভা চলে যায় বিজেপির দখলে। তিন মাস পরে পুনরায় বোর্ড দখল করে তৃণমূল সেই সময় পৌর প্রশাসক হিসেবে হালিশহর পৌরসভার দায়িত্ব পান রাজু সাহানি। ২০২২-এ ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন রাজু শাহানি। তারপরেই পৌর প্রধান হিসেবে যোগদান রাজু সাহানির।