২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Hooghly: হাসপাতালে গুলি চালনার ঘটনা, চুঁচুড়াজুড়ে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-14 16:15:26   Share:   

শনিবার রাতে চুঁচুড়া থানার পুলিস (police) কোদালিয়া মনসাতলায় হানা দিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র (firearm)-সহ গুলি ও বিস্ফোরক (Explosive) উদ্ধার করেছে। ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) করা হয়েছে ৮ জন দুষ্কৃতীকে। হুগলির (Hooghly) কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসকে ইমামবাড়া হাসপাতালে (hospital) গুলি করে প্রাণে মারার চেষ্টার পর নড়েচড়ে বসল চন্দননগর পুলিস। টোটন বিশ্বাসকে এসএসকেএম (SSKM) থেকে চুঁচুড়া আদালতে (court) নিয়ে যাওয়ার সময় টোটন বাহিনী প্রিজন ভ্যানের পিছু নেয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ডানকুনিতে ৩৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে টোটনের ভাই রূপচাঁদ। তাদের জেরা করে পুলিস আরও কিছু দুষ্কৃতীদের সন্ধান পায়। 

চুঁচুড়ার রবীন্দ্র নগর এলাকায় বাড়ি টোটনের। এক সময় সেই এলাকায় নিজের সাম্রাজ্য চালাত টোটন। তাঁর সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই গ্যাং-এর দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়। কোদালিয়াতেও আশ্রয় নেয় কয়েকজন। এই খবর পেতেই গতকাল রাতে মনসাতলায় সুকুমার মাঝি ওরফে সুকুর বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিস আটজনকে গ্রেফতার করে। ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র তার মধ্যে ৯ এমএম, পিস্তল পাইপ গান উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয় তিনটি ফাঁকা ম্যাগাজিন ও ২০৭ রাউন্ড কার্তুজ। ২ কেজি বিস্ফোরকও উদ্ধার করে পুলিস।

পুলিস সূত্রে খবর, হীরালাল পাশোয়ান (ওরফে হিরুয়া), সুজিত মণ্ডল, সোমনাথ সরদার (ওরফে জিতু), বিকাশ রাজভর, রবি পাশোয়ান(ওরফে রবিয়া), নীল পাশোয়ান, সুকুমার মাঝি ও সৌমিত্র কর্মকার (ওরফে ফাটা) মোট এই ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের রবিবার চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে টোটনকে যখন চন্দননগর পুলিস গ্রেফতার করে, তখন তার কাছ থেকে কারাবাইনের মত আধুনিক অস্ত্র সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। তবে টোটনকে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবু পাল সহ পাঁচজনকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিস।


Follow us on :