মালদহে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ (Maldah Religion Change) মামলায় এনআইএ এবং সিবিআই (NIA-CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high Court)। আদালতের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছেন। পাশাপাশি মালদহের পুলিস সুপার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা হলফনামা আকারে জানতে চেয়েছে আদালত। কালিয়াচকের একই পরিবারের তিনজনকে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের এই কাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারে মাদক, জালনোট চক্র। তাই তদন্ত করে ২১ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কালিয়াচকের এক গ্রামে একই পরিবারের দুই ভাই ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের জোর করে হিন্দু থেকে মুসলিম হতে বাধ্য করা হয়। এই ঘটনায় নাম জড়ায় কালিয়াচক থানার আইসি ও দু’জন পুলিশকর্মীর।
এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে সরাসরি কেন্দ্রীয় দুটি সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছেন। অভিযোগকারী পরিবারের দাবি, ধর্মান্তকরণের জন্য চাপ দিতে পুলিশ পরিবারের এক মহিলার বিরুদ্ধেই স্বামীকে অপহরণের অভিযোগ তুলেছিল। অথচ ঘটনার দু’দিন আগে থেকে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ না পেয়ে ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করতে থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিস সে সময় নিস্ক্রিয় ছিল।
অভিযোগ, থানার আইসি নিজে ধর্মান্তকরণের কথা প্রথম বলেছিলেন। তিনিই চাপ দিয়ে এই কাজ করিয়েছেন। দুই ভাইকে স্থানীয় গ্রামের একটি মসজিদে আটকে রেখেছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন। এমন গুরুতর অভিযোগও আনা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনায় জড়িত থানার দুই অফিসার ও সিভিক ভলান্টিয়ার।
এই অভিযোগ শুনে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। পুলিশ-প্রশাসন কীভাবে ধর্মান্তকরণের জন্য চাপ দিতে পারে? সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্যরা।