কুন্নুরে মর্মান্তিক কপ্টার দুর্ঘটনায় সদ্য় দেশ হারাল সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতকে। শোকজ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে দেশ- বিদেশের অন্য়ান্য় রাষ্ট্রনেতারা। যাঁরা তাঁর সান্নিধ্য়ে এসেছেন, তাঁরা প্রত্য়েকেই তাঁর অসম সাহসিকতার কথা বলেছেন।
এইরকম ভাবেই নিজের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন হলদিয়ার গবেষক অনির্বাণ দাস। তিনি কেয়ার ফ্রি সোল আবিষ্কার করেছেন। তাঁর কাজ দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন প্রয়াত সিডিএস বিপিন রাওয়াত। তরুণ বিজ্ঞানীকে নিজের হাতে তুলে দিয়েছিলেন শংসাপত্র। অনির্বাণ দাস সেনাকে প্রদান করেছিলেন বিস্ময় জুতো।
মাত্র মাস পাঁচেক আগের ঘটনা। বিপিন রাওয়াতের আকস্মিক প্রয়াণ ভাবতেই পারছেন না হলদিয়ার চৈতন্যপুরের বাসিন্দা, কলকাতার ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ও ইনোভেশন কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনির্বাণ দাস। তাঁর আবিষ্কারের তারিফ করেছিলেন স্বয়ং বিপিন রাওয়াত। একইসঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ফটো সেশন। সেই স্মৃতি টাটকা অনির্বাণবাবুর মনে।
তবে এখনও সম্পূর্ণ স্বীকৃতি পায়নি হলদিয়ার গবেষক অনির্বাণ দাসের আবিষ্কৃত সেই ‘অবাক জুতো’। তার মধ্যে বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুতে কার্যত ভেঙে পড়লেন অনির্বাণবাবু।
কেয়ার ফ্রি সোল। রোবটিক্সের সেন্সর টেকনোলজি সমৃদ্ধ একটি জুতো। যা সিয়াচেনের মাইনাস ৫৭ ডিগ্রিতেও সমান কার্যকর। প্রবল শৈত্যেও এই জুতো থেকে উৎপন্ন কম্পন এবং তাপশক্তি সহায়তা করবে শরীরের রক্ত সঞ্চালনে। হলদিয়ার তরুণ গবেষক অনির্বাণ দাসের এই উদ্ভাবনীকে ইতিমধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার্স সংস্থা। সম্প্রতি দিল্লির এই সংস্থার তরফে ‘বেস্ট ইনোভেটর’ পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে অনির্বাণবাবুকে। তাঁর এই বিস্ময় জুতোকে সেনাবাহিনীর কাজে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে শুরু হয়েছে চিন্তাভাবনা।
সেনা প্রধানের মৃত্যুতে গোটা দেশের মানুষের পাশাপাশি গভীর শোকাহত এই গবেষকের আত্মীয় পরিজনরাও। তবে তাঁর এই আবিষ্কার কবে দেশের জওয়ানদের পায়ে শোভা পাবে অপেক্ষায় রয়েছেন এই গবেষক।