ব্যাঙ্ক কর্মী পরিচয় দিয়ে নাবালিকাকে দিঘায় ঘুরতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত।

জানা যায়, পেশায় রাজমিস্ত্রি মামুদ আলি মণ্ডল। নিমতা থানা এলাকায় বাড়ি। নিজেকে ব্যাঙ্কের কর্মী বলে হাবরা থানা এলাকার এক নাবালিকার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপরই অভিযুক্ত অন্য নম্বরের মাধ্যমে কথা বলে নাবালিকার সঙ্গে। দীর্ঘদিন হয় ফোনে কথাবার্তা। সূত্রের খবর,নাবালিকার সঙ্গে যুবকের তৈরি হয় ভালোবাসার সম্পর্ক। নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয় অভিযুক্ত। পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অন্য একটি ছবি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে দীর্ঘদিন ভালোবাসার সম্পর্ক চালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।

গত ২৬ শে অক্টোবর নাবালিকার সঙ্গে ঘুরতে যাবার কথা হয় তার। সেইমত তার আগে নাবালিকার কাছ থেকে ৮৫০০ টাকা ধার নেয় অভিযুক্ত। ২৬ তারিখেও নিজের পরিচয় গোপন রেখে দিঘায় যাওয়ার জন্য নাবালিকার সঙ্গে বারাসাত এলাকায় দেখা করে। কিন্তু নাবালিকার সন্দেহ হলে অভিযুক্ত জানায়, তার বন্ধু আসেনি, অন্য জায়গায় অপেক্ষা করছে। তাকে নাবালিকাকে নিয়ে যেতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে ধর্মতলা হয়ে বাসে করে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় দিঘার একটি হোটেলে জোরপূর্বক। এরপরই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সেখান থেকে পালিয়ে আসে নাবালিকা এবং বাড়িতে কাউকে কিছু জানায়ও না।

তবে পরবর্তীতে ২রা ডিসেম্বর হাবরা থানার দ্বারস্থ হয় নাবালিকা, তদন্তে নামে হাবরা থানা। নাবালিকার সঙ্গে যে সমস্ত নম্বরে যুবক কথা বলত, প্রত্যেকটি নম্বর সুইচ অফ পায় পুলিস। যার ফলে তদন্ত কিছুটা ঢিলে হয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা দেওয়ার ফলে ব্যাঙ্কের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে তারা। ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে খোঁজ পায় অভিযুক্ত যুবকের। এরপর ফের এক মহিলা দিয়ে পুলিস ফাঁদ পাতে ঘোলা থানা এলাকায়। আর সেই ফাঁদেই পুলিসের জালে যুবক। রবিবার রাতে ঘোলা থানার জলিলের মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। সোমবার তাকে পাঠানো হয় বারাসত আদালতে।