অতিমারী পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। বন্ধ ছিল শপিং মল, শহর ও শহরতলির হাটগুলিও। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে মানুষের জীবন। এই আবহে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হতে চলেছে বস্ত্রহাট। হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চেষ্টায় হাবড়ার জয়গাছি সুপার মার্কেট এলাকায় বস্ত্র ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন বিল্ডিং তৈরি হতে চলেছে। ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ের এই বিল্ডিংয়ে লিফট সহ থাকবে অন্যান্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। তবে তার আগে এখানকার ব্যবসায়ীদের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করল হাবড়া পৌরসভা।
জানা গেছে, যতদিন বিল্ডিং তৈরি করার কাজ শেষ না হচ্ছে, ততদিন এই অস্থায়ী ঠিকানাতেই হবে বিকিকিনি। অস্থায়ী ঠিকানাতেও যাতে নিশ্চিন্তে বিকিকিনি চলে, তার জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে পরিদর্শন করতে আসেন হাবড়া পুরসভার প্রশাসক নারায়ণ সাহা।
৭৭৬ জন ব্যবসায়ী এই হাটের সঙ্গে যুক্ত। এখানে প্রতিদিনই তাঁরা পাইকারি বেচাকেনা করেন। পৌরসভার ভূমিকায় খুশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সপ্তাহে দুদিন জয়গাছি এলাকায় এই হাটে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের কেনাবেচা হয়। কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয় হাটে। বস্ত্র ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে বিধায়কের চেষ্টায় হতে চলেছে নতুন বিল্ডিং। তবে এর মধ্যে যাতে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ না থাকে, সেই চিন্তাও করেছে হাবড়া পুরসভা। এখানকার ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে হাবড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে পার্শ্ববর্তী একটি জায়গায় বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি করে দেওয়া হয় মাথা গোঁজার ব্যবস্থা। পুজো এবং যজ্ঞ করে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ করে শুরু হল এই হাটের ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী মাথা গোঁজার নতুন ঠিকানা।