ফের উত্তরবঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বদল প্রসঙ্গে নবান্নের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব রাজ্যপাল। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপালের মন্তব্য, 'রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্বেগজনক। আমি গোটা ঘটনায় খুব বিরক্ত। ২৫ জন উপাচার্যকে আইনের বিরুদ্ধে নিয়োগ করা হয়েছে। এঁরা স্বজনপোষণ এবং তোষামোদে যুক্ত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এক্সটেনশন আইন বহির্ভূত। কে আচার্য হবে, রাজ্যপালের এক্তিয়ার কাটছাঁট করা সংক্রান্ত কোনও নথি আমার কাছে এলে আমি খতিয়ে দেখব। সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, সব দুর্নীতির চেয়ে বড়। এতে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'
তিনি জানান, সংবিধানে আমার ভূমিকা স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যরা ইউনিয়ন করছেন। আমি তাঁদের বার্তা দিয়ে বলতে চাই। সবকিছু ঠিক ভাবে চলছে না। আমার কাছে নথি আসলে আমি সংবিধানের পথে থেকেই ব্যবস্থা নেব। রাজ্যপালের সই ছাড়া বিল আইনে পরিণত হবে না, আর রাজ্যপালের সই ছাড়া অর্ডিন্যান্স ইস্যু হবে না। এদিন বাগডোগরায় দাঁড়িয়ে এভাবেই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতার মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদ থেকেও রাজ্যপালকে সরাতে তৎপর উচ্চশিক্ষা দফতর।
এদিন নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, 'একজন বিচারপতি, যিনি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, জনসভায় তাঁকে আক্রমণ নিন্দনীয় এবং আদালত অবমাননার সামিল। রাজ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উপর এই আঘাত দুর্ভাগ্যজনক। বিচারব্যবস্থার সদস্যদের উপর আক্রমণ হলে, দেশের প্রধান বিচারপতি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু মাননীয় সাংসদ লাল দাগ পেরিয়েছেন। আমি এই ঘটনা গুরুত্ব সহকারে বিচার করছি। আমি মুখ্যসচিবকে ডেকে শনিবারের ঘটনায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।'
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শনিবার হলদিয়ার জনসভায় কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের রায়কে ঘুরিয়ে সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ। এদিন সেই সমালোচনাকেই পাল্টা বিঁধেছেন রাজ্যপাল।