তরুণ প্রজন্মকে মোবাইল যে কীভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে, তার মর্মান্তিক প্রমাণ মিলল আরও একবার। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সাগরপাড়া থানার বিয়ানারদেয়াড় গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে খাওয়াদাওয়া শেষ করে দামি মোবাইল কেনার জন্য মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মা টাকা দিতে না পারায় সে অভিমানে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজের ঘরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এরপর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পরিবারের সদস্যরা ওই কিশোরীকে নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা যায়, সৌমিতা প্রামাণিক (১৬) এবছর মাধ্যমিক পাশ করে লক্ষ্মীনারায়ণপুর হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। তিন বোনের মধ্যে ছোট ছিল সৌমিতা। বড় দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। অকালে নিজের ছোট মেয়েকে হারিয়ে শোকে কাতর মা দিপালী প্রামাণিক। ঘটনার পর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে ডোমকল থানার পুলিশ-প্রসাশন।
ঘটনার পর মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সকাল থেকেই ও বারবার মোবাইলের জন্য আবদার করে যাচ্ছিল। প্রথমে বলেছিল, কিস্তির জন্য ৭০০ টাকা দাও। পরে বলেছিল আড়াই হাজার টাকা লাগবে। কিন্তু ওর বাবা বাড়িতে নেই। আমার পক্ষে ওই টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। ও বারবার একই কথা বলছিল, সবার মা দেয়, তুমিই শুধু না বলছ। এরপর এইটুকু কারণের জন্য ও যে এতবড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে, তা বুঝতে পারিনি।