প্রায় ২ বছর অতিমারী থেকে বাঁচতে এবং বাঁচাতে মরিয়া হয়ে পড়েছিলেন বিশ্বের সকল শ্রেণির মানুষই। খানিকটা হলেও কেটেছে সেই অতিমারীর বাড়বাড়ন্ত। তবে বর্তমানে কিছুটা স্বস্তি পেতে না পেতেই করোনার নতুন প্রজাতি বা ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন হাজির। যা রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে টিকাপ্রাপ্ত মানুষদেরও।
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এশিয়ার দ্বিতীয়তম স্থলবন্দর ঘোজাডাঙা সীমান্ত। এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে।
সেদিকে নজর রেখে এবার ঘোজাডাঙা সীমান্তে কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন।
ওমিক্রন সতর্কতায় একদিকে ওপার বাংলা থেকে আসা বিভিন্ন পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপর করোনা পজিটিভ থাকলে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে।
এবিষয়ে শিবহাটি ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসক রাজীব সানা জানান, প্রতিনিয়ত আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে স্যানিটাইজেশন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি ট্রাকচালক ও খালাসিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কোনও বিদেশী পর্যটক এদেশে আসলে তাঁদের প্রথমে আরটিপিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে। এরপর করোনা পজিটিভ হলে নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন, তারজন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের সম্পূর্ণ নাম, ঠিকানা, এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নথিভুক্ত করা হচ্ছে। যাতে তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করা যায়। এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে তাঁদের সম্পূর্ণ তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকরা জানান, সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তারজন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য পরিষেবা এখানে যথেষ্ট ভালো। সমস্ত বিষয়ে কড়া নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের ২ ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছিল। যাঁদের একজনের বয়স ৬৬ বছর। অন্যজন ৪৬ বছর। কর্ণাটকের ওই ব্যক্তি গত ২৭শে নভেম্বর দুবাই পাড়ি দেন। তারপর তাঁর সংস্পর্শে আসা ২৭০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। এছাড়া ওমিক্রন আতঙ্কে দিল্লিও।
ফলে সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে এক নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ওমিক্রন ভাইরাস।