চুরি করতে বাধা দেওয়ায় মহিলাকে মেরে নাক ফাটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল চোর। ভাবতে অবাক লাগলেও এই ঘটনার সাক্ষী রইলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী। যদিও এখনও প্রশাসনের দ্বারস্থ হননি কেউ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে বাড়ির সদস্যরা গিয়েছিলেন বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে। বাড়িতে ছিলেন একা ওই যুবতী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই রবিবার মাঝরাতে এক দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে যায় চুরির উদ্দেশ্যে। কিন্তু বাধা দেন তিনি। এরপরই ঘটে অঘটন। মেরে নাক ফাটিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। তবে স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, ওই যুবতী এই ওয়ার্ডেরই একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। খবর পেয়ে মাঝরাতেই ছুটে গিয়ে ওই কর্মীকে উদ্ধার করেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষা না করেই তিনি নিজে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
যদিও তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, এসব বিরোধীদের কার্যকলাপও হতে পারে। কারণ রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। তাই তিনি আর্জি জানান, পুলিস-প্রশাসন প্রকৃত তদন্ত করুক।
উল্লেখ্য, পুরভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ চড়ছে বালুরঘাটে। কিছুদিন আগেই বালুরঘাটে প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর গতকাল অর্থাৎ রবিবার বালুরঘাট শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। তারপরই ২২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চুরির চেষ্টার ঘটনায় তৃণমূল কর্মীকেই মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনার পিছনেও রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে কিনা, সেটা স্পষ্ট নয়।