ছাত্র নেতা আনিস খানের (Anish Khan Death) মৃত্যুর দু'দিন বাদেও ঘনীভূত রহস্য। রবিবার বিকেলে সেই রহস্য আরও জিইয়ে রাখলেন হাওড়া গ্রামীণের পুলিস (Howrah Police) সুপার সৌম্য রায়। এদিন আনিস মৃত্যু তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানাতে ভবানী ভবনে ডিজির সঙ্গে দেখা করেন এসপি। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই আইপিএস। সেখানে শুক্রবার রাতে আনিসের বাড়িতে পুলিসি অভিযান নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি। বরং বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ বলে প্রসঙ্গ এড়িয়েছেন পুলিস সুপার।
এদিন তিনি বলেন, 'ঘটনার দিন রাতে আনিসের বাড়িতে পুলিস গিয়েছিল কিনা, সেটা তদন্তসাপেক্ষ। তবে মৃত্যুর খবর পেয়ে ভোরের দিকে ৫টা-৬টা নাগাদ পুলিস আনিসের বাড়িতে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একাধিক মামলা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কোনও অভিযোগ আনিসের বিরুদ্ধে দায়ের হয়নি। তবে একটি মামলায় কোর্টের তলব পেয়েছিলেন প্রয়াত ছাত্র।'
অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে এই মামলার তদন্ত চলবে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। এদিন এভাবেই আশ্বাস দেন পুলিস সুপার। তাঁর প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে আমতা থানার ওসির কণ্ঠে। তিনিও বলেছেন, সম্প্রতি আনিসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি। এমনকি, ঘটনার দিন রাতে কোনও পুলিসি অভিযান মৃত ছাত্র নেতার বাড়িতে হয়নি।
অপরদিকে, ছাত্র নেতা মৃত আনিসের বাড়িতে এদিন ফরেনসিক টিম পৌঁছে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে। তিন তলার বারান্দা থেকে বালিশ ফেলে দেখা হয় আনিসের প্রকৃত মৃত্যুর কারণ। আনিস দেহ তিনতলার বারান্দায় যেখান পড়ে ছিল, সেই জায়গা ঘুরে দেখেন আধিকারিকরা।