শীতের শুরুতে মৎস্যজীবিদের জালে ধরা পড়ল বিপুল পরিমাণে খোকা ইলিশ। বঙ্গোপসাগরের খোকা ইলিশ পর্যাপ্ত পরিমাণে পেয়ে লাভের মুখ দেখছেন মৎস্যজীবীরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার নগেন্দ্রবাজারে শুধুই মিলেছে এক হাজার মন খোকা ইলিশ। তার আগের দিন আরও এক হাজার মন ইলিশ উঠিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্যবন্দর নগেন্দ্রবাজার যেন অক্সিজেন পেল দুদিনের ইলিশ ধরা ঘিরে। চলতি বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। অধিক টাকা দাদন আর উপার্জন না হওয়াতে অনেকের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছিল। শেষ মুহুর্তে তাঁদের জালে খোকা ইলিশ মিলতেই দেদার আনন্দ মৎস্যজীবী মহলে।
দেড় থেকে দুই কেজি ইলিশ মিলেছে আশেপাশের চার থেকে ছয়টি গ্রামে। দামও সাধ্যের মধ্যেই। এক কেজির উপর ইলিশের দাম প্রায় বারো থেকে তেরশো টাকা। চারশো থেকে ছয়শো ওজনের মাছের দাম প্রায় তিন থেকে চারশো টাকা। ফলে নাগালের মধ্যে দাম হওয়ায় মাছেভাতে বাঙালির শেষ মুহুর্তে পাতে পড়বে ইলিশ। এমনটাই আশা করছেন মাছপ্রিয় বাঙালিরা।
এক মৎস্যজীবী জানান, এই মাছের জন্য ট্রলার পিছু খরচ এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। প্রতি ট্রলারে মাছ পেয়েছেন আশি থেকে একশো মন। এর সঙ্গেই তাঁদের হাতে আসবে লাভের টাকা। আমফান, ইয়াসের মত নিম্নচাপ ও ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ব্যাপক। জালে যে কটা মাছ ধরা পড়েছিল, তাও মৃত। ফলে বাজারে ভাটা পড়েছিল। তবে এবার কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন তাঁরা। এত খোকা ইলিশ উদ্ধার হওয়ায় খুশির মেজাজ তাঁদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মাছ বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে। তবে এর সঙ্গেই আরও একটি আশঙ্কাও রয়েছে। এত পরিমাণে মাছ ধরা পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে খোকা ইলিশের দাম। ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই অনেকে সাগরে পাড়ি দিয়েছেন। বছরের শেষ মুহুর্তে ব্যবসায় লক্ষ্মীলাভের আশায়।