শীতের মরসুম। এই সময় বাজারে আসে নতুন আলু। আলু চাষের জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সারের। আর সেই সার যদি কিনতে হয় চড়া দামে, তাহলে নিঃসন্দেহে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আলু চাষিদের। আর এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার কৃষকরা। চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সার। পাশাপাশি আলু চাষের মরসুমে রাসায়নিক সারের কালোবাজারির অভিযোগ তুলছেন ঘাটালের কৃষকরা। আলু চাষের মরসুমে ঘাটালের কিছু এলাকা সহ চন্দ্রকোনা আলু চাষের গড় হিসাবে পরিচিত।
কৃষকদের অভিযোগ, যে রাসায়নিক সার তাঁরা আগে কিনতেন হাজার-বারোশো টাকায়, এখন তাঁদের কিনতে হয় ১৬০০, ১৭০০ টাকায়। এমনকি রাসায়নিক সারের প্যাকেটে যে দাম লেখা আছে, তার থেকেও বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে না পাকা বিল।
এক আলুচাষি জানান, বাজারে সারের সরবরাহ কম। এই বলে যে যেমন পারছে দাম দিয়ে বিক্রি করছে। বাধ্য হয়ে দোকানদার যা বলছে, তা দিয়েই কিনতে হচ্ছে তাঁদের। দোকানদার তাঁদের বলছেন, পাইকারি মার্কেট থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে তাঁরা বিক্রি করছেন। তিনি আরও বলেন, সব মিথ্যা কথা। আসলে দোকানদাররা কালোবাজারি করছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে চাষিরা কি বাঁচবে? প্রশ্ন তুললেন তিনি।
এই ধরনের রাসায়নিক সারের কালোবাজারির অভিযোগ ওঠার পর নড়েচড়ে বসছে প্রশাসন।
এরকম একটা অবস্থায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে রাসায়নিক সারের বিক্রেতাদের দোকানে গিয়ে হানা দিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। এক আধিকারিক জানান, অনেকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল বেশি দামে বিক্রি চলছে সারের। তারপরই তাঁদের এই উদ্যোগ। স্টক রেজিস্টার থেকে শুরু করে দাম, সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এমনকি অতিরিক্ত দাম নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সরকারের ভরতুকি দেওয়া সার কীভাবে বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বলা বাহুল্য,নাভিশ্বাস উঠছে কৃষকদের।