খাগড়াগড় (Khagragarh fake currency) থেকে উদ্ধার জালনোট পরীক্ষার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে শালবনি টাঁকশালে পাঠানো হচ্ছে। এমনটাই জেলা পুলিস সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার সিবিআইয়ের আইকার্ড, মানবাধিকার সংস্থার আইকার্ড। ২০১৪ সালের ২-রা অক্টোবর খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর ফের একবার সংবাদ শিরোনামে বর্ধমানের (Burdwan) খাগড়াগড়।
জঙ্গি ডেরা থেকে জালনোটের কারবার, এভাবে বারবার খাগড়াগড়ের নাম জড়ানোয় সামাজিক মর্যাদাহানী হচ্ছে বলে দাবী স্থানীয়দের। এলাকার পরিচয় দিতে গিয়ে তাঁদের মর্যাদাহানী হচ্ছে বলে দাবী স্থানীয়দের। এমনকি এলাকার যুবক-যুবতীদের বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ।
এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা এবং স্বাভাবিক জনজীবন রক্ষার স্বার্থে সচেতন এলাকাবাসী। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে কড়া পুলিশি নজরদারি চালানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, স্বাভাবিক বাড়ি ভাড়া থেকে তিনগুন ভাড়া দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন জালনোট-কাণ্ডের অন্যতম মাথা গোপাল সিং। বর্ধমান শহর লাগোয়া খাগড়াগড়ের সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত মানের। তাই এই জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিলো বলে মনে করছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, বাড়িভাড়া নিয়ে হচ্ছিল পাঁচশো টাকার জালনোট। এভাবেই বৃহস্পতিবার খাগড়াগড়ের পূর্ব মাঠপাড়ায় জাল নোট তৈরির কারখানার হদিশ মিলেছে। এই অভিযোগে অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন। উদ্ধার রাসায়ানিক, ডায়েস, ৫০০ টাকার জাল নোট ও নোটের সাইজের প্রচুর পরিমানে কাগজ। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই বর্ধমান শহরে জাল নোট ছড়িয়ে পড়ার খবর পুলিশের কাছে আসছিল।
বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরের উপকন্ঠে খাগড়াগড় পূর্ব মাঠপাড়া এলাকায় একটা ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তারপরেই রহস্যভেদ হয়েছে জাল নোট কারখানার। যেহেতু বাড়ি থেকে জাল ডলার এবং আমেরিকান ব্যাঙ্কের ভুয়ো নথি উদ্ধার করেছে পুলিস। তাই এই কাণ্ডে আন্তর্জাতিক যোগ উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।