করোনা এখনও চোখ রাঙাচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে জারি বিধিনিষেধ। কিন্তু সব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে কি সেই বিধিনিষেধ? বোধহয় না। সরকারের জারি করা কোভিডবিধি শিকেয়। নেই সামাজিক বিধি মানার বালাই। চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি। কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি মানুষের। দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারে বৃহস্পতিবার ঘটল এমনই ঘটনা। বিধি ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেসের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা।
অনেকের মুখে নেই মাস্ক, আবার যাদেরও বা আছে, তাদের মুখের মাস্ক ঝুলছে থুতনিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের জয় হিন্দ বাহিনীর উদ্যোগে হয় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান। অভিযোগ, মানা হয়নি করোনা বিধি। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচিকে ঘিরে। সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়ে দুঃস্থ মানুষজন এই শীতে কম্বল নিতে ভিড় জমালেন অনুষ্ঠানে। এমনকি মঞ্চে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের অবস্থাও তথৈবচ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে সংক্রমণের সরকারি বিধির এক নিয়ম ভাঙার অনুষ্ঠান দেখল গোটা দুর্গাপুরের মানুষ।
তবে সরকারি বিধি ভেঙে খুব একটা অনুতপ্ত নন দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। সুর চড়িয়ে সিপিআইএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার অভিযোগ করলেন, শাসকের এক আইন আর বিরোধীদের জন্য অন্য আইন।
তৃণমূল কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেন বিজেপি নেতৃত্বও। উল্লেখ্য,দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় হিন্দ বাহিনীর এই কর্মসূচিতে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। প্রায় ৩ হাজার মানুষকে এদিন কম্বল বিতরণ করা হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই তথা জয় হিন্দ বাহিনীর রাজ্য নেতা কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের কর্মসূচির মঞ্চ থেকে বিজেপিকে পালটা আক্রমণ করেন। গেরুয়া শিবিরের পরিণতি আরও খারাপ হবে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে মারণ ব্যাধির সংক্রমণ রুখতে আরোপ করা সরকারি বিধিনিষেধ ভেঙে যেভাবে খোদ প্রশাসনিক কর্তাদের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় হিন্দ বাহিনীর কর্মসূচি হল, তাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উঠল সমালোচনার ঝড়।