পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, কাল মঙ্গলবার থেকেই গোটা রাজ্যে চালু হচ্ছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় দুমাস ধরে চলেছে পাইলট প্রজেক্ট। যদিও রেশন ডিলারদের একাংশ এই প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেইমতো ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চালু করেছিলেন 'দুয়ারে রেশন'-এর পাইলট প্রজেক্ট। এই প্রকল্পে নিযুক্ত করা হয়েছিল রাজ্যের ৫০ শতাংশ রেশন ডিলারদের। তবে কাজে নেমে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁদের। এই নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। 'দুয়ারে নয়, দোকানে রেশন' পালটা প্রচার শুরু করেছিল রেশন ডিলারদের জয়েন্ট ফোরাম। এমনকি খাদ্যমন্ত্রীর কাছেও তাদের অভিযোগ জানিয়ে দিয়েছিল চিঠি। বারবার তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে চালু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত দুয়ারে রেশন প্রকল্প। সেই মতো শুরু হতে চলেছে দুয়ারে রেশন। ইতিমধ্যে বিক্ষুব্ধ ডিলারদের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা হয়েছে। তাঁরাও যোগ দেবেন দুয়ারে রেশন প্রকল্পে, দাবি খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের সব ডিলার অর্থাৎ ২০,৩০০ ডিলারদের নিয়েই শুরু হতে চলেছে এই প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী কাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করবেন।
প্রসঙ্গত, রেশন ডিলারদের দাবি জানতে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ কয়েকদিন আগে জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলারদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রেশন ডিলাররা জানিয়েছিলেন, যাদের একান্ত প্রয়োজন, এমন গ্রাহকদের বাড়িতেই খাদ্য- সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। সবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছনো কার্যত অসম্ভব। তাহলে সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে রেশন দোকানের কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। বাড়তি খরচও সরকারকে বহন করতে হবে। ডিলারদের অতিরিক্ত কমিশনের দাবি মেনে নিয়ে শুরু হচ্ছে এই প্রকল্প।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে রাজ্য সরকারের তরফে গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই গাড়ির সাহায্যে রেশন পৌঁছে যাবে বিভিন্ন পাড়ায়।