প্রাণে বাঁচল কুকুরটি। চোখেমুখে তার ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। যেন পুনর্জন্ম হল তার। আর সেই পুণ্যের ভাগীদার দমকলর্মীরা। সোমবার রাতে হাবড়ার কামারথুবা ক্ষুদিরাম বসু লেন এলাকায় গৌরাঙ্গ পালের বাড়িতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গৌরববাবুর স্ত্রী অনেক্ষণ ধরেই কুকুরের ডাক শুনতে পাচ্ছিলেন। বাইরে বেরিয়ে এসে বাড়ির চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বাড়ির পিছনদিকে কুয়োর ভিতরে দেখতে পান, কুকুরটি পড়ে গিয়ে চিৎকার করছে। প্রথম অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ নিজেরাই চেষ্টা করেন কুকুরটিকে উদ্ধার করার। পরবর্তীতে হাবড়া দমকলে খবর দেওয়া হলে দমকলকর্মীরা এসে উদ্ধার করেন।
ওই বাড়ির বাসিন্দা গৌরববাবুর স্ত্রী রত্না পাল বলেন, পাড়ার ওই কুকুরটি অনেক্ষণ ধরে চিৎকার করছিল। তিনি শুনতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দেখেন, তাঁদের বাড়ির কুয়োতে পড়ে গেছে কুকুরটি। তারপর দমকলকে ফোন করতেই তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে। পাঁচ-সাত মিনিটের চেষ্টায় উদ্ধার করে কুকুরটিকে। কুকুরটি প্রাণে বেঁচে যায়। তিনি আরও জানান, এটি তাঁদের বাড়ির কুয়ো। বাড়ির নোংরা-ময়লা জল এই কুয়োর মধ্যে দিয়ে যায়। কুয়োটি আগে ঢাকা দেওয়া ছিল। ঢাকাটি ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে খোলা অবস্থায় পড়ে ছিল।
দমকল কর্মী রাজদীপ রায় জানান, তাঁরা গৌরববাবুর বাড়ি থেকে ফোন কল পান। এসে দেখেন, কুকুরটি আপ্রাণ চেষ্টা করছে প্রাণে বাঁচার। তারপর তাঁরা উদ্ধার করে স্নান করিয়ে গরম হিট দিতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, আরও আগে ফোন করা উচিত ছিল। অনেক্ষণ ধরে জলের মধ্যে ছিল কুকুরটি। তাই শারীরিক অবস্থা এতটা খারাপ হয়ে যায়। তবে এখন খানিকটা সুস্থ আছে বলে জানালেন তিনি।
কুকুরটি কীভাবে ওই কুয়োর মধ্যে পড়ে গেল, সেই তথ্য অবশ্য মেলেনি। কিন্তু উদ্ধারের পর এমন নজিরবিহীন ঘটনায় সকলেই আনন্দিত। দমকলের উদ্যোগের প্রশংসা করছেন এলাকাবাসী।