মুখ্যমন্ত্রীর ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের পর সতর্কবার্তা দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তারা জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ। দৈনিক সংক্রমণ হতে পারে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আরটি-পিসিআর টেস্টের ওপর জোর দিয়েছে।
অন্যদিকে, গঙ্গাসাগর সফর শেষ করে কলকাতায় ফেরার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, আন্তর্জাতিক বিমান থেকেই করোনা বেশি আসছে। বাইরে থেকে যারা আসছে, আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে তারা অনীহা দেখাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত বিমান বন্ধ রাখা। লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে আমরা রিভিউ মিটিং করছি। মমতা বলেন, দু বছর ধরে ব্যবসা কিছু নেই। সেদিকেও নজর রাখতে হচ্ছে। আমরা স্কুল-কলেজ বন্ধ করার কথা বলিনি। এটা নিয়ে রিভিউ করে সিদ্ধান্ত নেব। কলকাতায় করোনা বাড়ছে। কারণ কলকাতায় প্রচুর মানুষ। মমতার আর্জি, দয়া করে করোনা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াবেন না।
রাজ্যে করোনা এবং ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়ে চললেও মানুষ এখনও যে অসচেতন, বড় বড় স্টেশন, বাজারে সেরকমই চিত্র ধরা পড়েছে। যেমন কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ায় অধিকাংশ বই বিক্রেতা বা দোকানদারের মুখেই দেখা গেল মাস্ক নেই। মাস্ক ছাড়াই দোকানদারি চলছে। মাস্ক পরেনি কেন, প্রশ্ন করলে নানারকম অজুহাত দেখানো হচ্ছে। দোকানের বিক্রেতারা কেউ বলেন, এইমাত্র খুলে রাখলাম। আবার কেউ বলেন, মুখে মাস্ক পরে কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে।
একই চিত্র দেখা গেল কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসে। কফি হাউসের কর্মচারীরা মুখে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং কাস্টমারের কাছে গিয়ে খাবার পরিবেশন করছেন। কফি হাউসের ম্যানেজমেন্টেরও এ ব্যাপারে কোনও দায়িত্ব আছে বলে মনে হয়নি।
প্রশ্ন একটা থেকেই যাচ্ছে, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার বারবার বলছে মানুষকে সচেতন হতে।কিন্তু মানুষই যদি এরকম অসচেতন থাকে, তাহলে করোনা এবং ওমিক্রনের সংক্রমন কমবে কিভাবে।