তীর্থযাত্রীদের জন্য একাধিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল মেলা প্রাঙ্গণ ঘিরে। কিন্তু রাজ্যে কার্যত আংশিক লকডাউন হওয়ায় গঙ্গাসাগর মেলা হওয়া নিয়ে সবার মধ্য শুরু হয়েছে সংশয়। করোনা ও ওমিক্রন যেভাবে বিশ্ব দাপাচ্ছে, তার মধ্যে বাদ যায়নি বাংলা। ফলে তড়িঘড়ি রবিবার কড়া বিধিনিষেধ জারি করে রাজ্য সরকার। এরপরই মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে সাগরদ্বীপবাসীদের। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা, যাঁদের মেলা ঘিরে উপার্জন হয়, চরম সমস্যায়। মেলা ঘিরে যখন উন্মাদনা তুঙ্গে, আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরা নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছেন সবাই, সেই সময় ফের বিধিনিষেধের ফলে আক্ষেপের সুর সর্বত্র।
কিন্তু আংশিক লকডাউনে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁদের। তীর্থযাত্রী না হলে যে অর্থসংকটের মুখে পড়তে হবে আরও একবার, তা মনে করছেন অনেকেই। তবে এখনও ঘোষণা হয়নি মেলা বন্ধের কথা। কিন্তু সরকারি বিধিনিষেধ যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে মেলা না হওয়ার কথাই। এবারের বাজেট অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা। খরচও ভালোই হয়ে গিয়েছে। বিহার, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট থেকে তীর্থযাত্রীরা যদি না আসেন, তাহলে হতাশ হয়ে পড়েন মেলার সঙ্গে আর্থিকভাবে যুক্ত মানুষ।
তৃণমূলের দাবি, মেলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বন্ধ হলে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে। ফলে মেলা চলুক। করোনা মোকাবিলায় সব রকমের ব্যবস্থা আছে বলে দাবি তৃণমূলের।