দার্জিলিং রাজভবনে চা সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বুধবারের এই বৈঠক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'রাজনীতির কোনও আলোচনা হয়নি। সৌজন্য সাক্ষাৎ। চা বিস্কুট খেয়েছি। হিমন্ত বিশ্বশর্মা আমাকে অসমের উত্তরীয় দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।' এদিন প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলেছে এই বৈঠক।
তিনি জানান, আমাদের পড়শি দুই রাজ্যের যোগাযোগ রাখা উচিৎ। আমাদের প্রচুর মানুষ অসমে থাকেন। পাশাপাশি বাংলার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে অসমের। তাই যোগাযোগ জরুরি। তাছাড়া আমি যখন দার্জিলিং থাকি, তখন রাজ্যপাল থাকেন না। এই মুহূর্তে দু'জনেই পাহাড়ে আছি। তাই দেখা করে গেলাম। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরবেন। তাই জিটিএ বোর্ড গঠনের অনুষ্ঠানে থাকবেন না। এই অনুষ্ঠান পৌরহিত্য করবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
এদিকে, পাহাড় সফরের তৃতীয় দিনে নেপালি কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় ভাষায় বক্তব্য রাখেন তিনি। নেপালি ভাষার বিস্তারে কবি ভানু ভক্তের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। নেপালি ভাষায় রামায়ণ রচনায় সহজ, সরল, প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার করেছেন কবি ভানু ভক্ত, এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ভেদাভেদে বিশ্বাসী ছিলেন না কবি ভানুভক্ত।