Share this link via
Or copy link
এরকম নোংরা রাজনীতি দেখলে আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিতাম। নবান্নে ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata)। সব কয়লার টাকা নাকি কালীঘাটে যাচ্ছে। কার কাছে যাচ্ছে মা কালীর কাছে? এহেন প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, 'জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারকে (TMC) কলঙ্কিত করবেন না। আমি একটা মশাও মারি না। রক্ত, মৃতদেহ দেখতে পারি না। ভয় পাই। যাকে তাঁকে কলুষিত করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূলকে পরিকল্পিত করে কলঙ্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রতিহিংসা না প্রকাশ্যে হিংসা?'
তাঁর দাবি, 'উত্তর প্রদেশ, বিহার হয়ে গোরু আসছে। গোরু-কয়লা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। আমি সেটিং করি না। এই কাজের জন্য আমি ফিট না। আমার কাছে সেটিং করতে আসে। আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাই না, প্রাপ্য চাই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সে ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বলা হয় সেটিং করতে গিয়েছি।' মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি কোনও বেতন নিই না। প্রায় ৫-৬ কোটি টাকা সাদা টাকা তো হবেই। আমার চেয়ারের লোভ নেই। এটা মানুষের চেয়ার, মানুষ যেদিন চাইবে না থাকবো না। একটা ঝোলা ব্যাগ নিয়ে রেল মন্ত্রক ছেড়ে চলে এসেছিলাম। ক্রীড়া মন্ত্রক ছেড়ে দিয়েছিলাম।
অভিমানের সুরে তাঁর মন্তব্য, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বই লিখলে আপত্তি কোথায়। বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতে গেলে বাচ্চা মন করতে হয়। তাও সোশাল মিডিয়ায় আমার লেখা নিয়ে হাসাহাসি হয়। দু'বার আঁকার প্রদর্শনী করেছিলাম। যা টাকা পেয়েছি দান করে দিয়েছি। আমি ছোট থেকেই লিখি। আমার সৃজনশীলতা আমাকে গান লিখতে, বই লিখতে অনুপ্রেরণা দিলে আমি লিখি। আপনারও লিখুন, কে না করেছে। আমার তো তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া কোনও পরিবার নেই। রান্না করতে হয় না, অভিষেকের মা আমাকে দেখে। তাই এসব নিয়ে থাকি।'
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ইউনেস্কোর জন্য আয়োজিত থ্যাঙ্কস গিভিং পদযাত্রার পরকিল্পনা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। কোথা থেকে মিছিল শুরু হয়ে, কোথায় থামবে। সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেন তিনি।